Advertisement

Kolkata-Siliguri Bus Fare Problem: কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি বাস ভাড়া কম, উল্টোপথে ৩ গুণ ভাড়া, আজব কাণ্ডে হইচই

পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই ভাড়ার ফারাকের মূল কারণ মরশুমি চাহিদা। পর্যটনের ভরা মরশুমে পাহাড় ও ডুয়ার্সমুখী যাত্রীর বড় অংশ একই সময়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেন। ফলে এনজেপি ও শিলিগুড়িমুখী টিকিটের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে ভাড়ায়।

পুজোয় কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে স্পেশাল বন্দোবস্ত, খরচ মাত্র ৪৮০ টাকাপুজোয় কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে স্পেশাল বন্দোবস্ত, খরচ মাত্র ৪৮০ টাকা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ও শিলিগুড়ি,
  • 21 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:54 PM IST

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার বাসভাড়া কার্যত আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। অথচ উল্টো রুটে, অর্থাৎ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা আসার ক্ষেত্রে ভাড়ায় তেমন বড় কোনও পরিবর্তন নেই। এই বৈষম্য ঘিরে প্রশ্ন উঠছে যাত্রীদের মধ্যে, ক্ষোভ বাড়ছে পর্যটন মহলেও।

এক ব্যাক্তি কলকাতা থেকে বাসে শিলিগুড়ি আসেন। তাঁর কথায়, “জরুরি কাজে কলকাতা যেতে হয়েছিল। ফেরার সময় ট্রেনের টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে বাসের টিকিট কাটতে হয়।” একই অভিজ্ঞতা বেলঘরিয়ার বাসিন্দা মানস রায়েরও। তিনি জানান, “কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি আসতে ৩২০০ টাকা দিতে হয়েছে, অথচ ফেরার সময় ভাড়া পড়েছে মাত্র ৯৫০ টাকা।”

পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই ভাড়ার ফারাকের মূল কারণ মরশুমি চাহিদা। পর্যটনের ভরা মরশুমে পাহাড় ও ডুয়ার্সমুখী যাত্রীর বড় অংশ একই সময়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেন। ফলে এনজেপি ও শিলিগুড়িমুখী টিকিটের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে ভাড়ায়। কিন্তু ফেরার সময় পর্যটকরা নানা রুটে ছড়িয়ে যান। কেউ বিমান ধরেন, কেউ ভিন রাজ্যের দিকে রওনা দেন। ফলে শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে চাহিদা তুলনায় কম থাকে।

বর্তমানে শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে সরকারি বাসের সাধারণ ভাড়া পাঁচশো টাকার সামান্য কম। নন-এসি ভলভো বাসে ভাড়া প্রায় ৯৫০ টাকা, আর এসি ভলভো বাসে ১৩৫০ টাকার আশপাশে। কিন্তু কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি আসতে বেসরকারি বাসে টিকিট কাটতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই ২০০০ টাকার নিচে ভাড়া পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কোথাও কোথাও তা ৩০০০ টাকাও ছুঁয়ে যাচ্ছে।

এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। পাশাপাশি পর্যটনের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মত ব্যবসায়ীদের। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, “হঠাৎ করে এত ভাড়া বেড়ে গেলে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রেও এমআরপির মতো সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হোক।” পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যালের মতে, “যাত্রী না থাকলে লোকসান মেনেই বাস চালাতে হয়। তাই ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ভাড়া ঠিক করে সরকারি নীতি তৈরি হওয়া জরুরি।” তবে এই ভাড়া-বৈষম্য নিয়ে পর্যটন দফতরের কর্তারা এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement