Advertisement

Kolkata Tram: ৪ সেপ্টেম্বর ট্রাম বন্ধের বিরুদ্ধে পথে নামছে কলকাতাবাসী, পরিবহণ দফতরে বিক্ষোভের ডাক

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব শহরবাসীর একাংশ। অভিযোগ, যানজটের অজুহাতে রাজ্য সরকার ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার বিবাদী বাগে পরিবহন দফতরের দফতরের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে একদল ট্রামপ্রেমী।

ভোটারদের সচেতন করতে কলকাতায় বিশেষ ট্রামভোটারদের সচেতন করতে কলকাতায় বিশেষ ট্রাম
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 31 Aug 2025,
  • अपडेटेड 12:54 PM IST
  • কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব শহরবাসীর একাংশ।
  • অভিযোগ, যানজটের অজুহাতে রাজ্য সরকার ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার বিবাদী বাগে পরিবহন দফতরের দফতরের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে একদল ট্রামপ্রেমী।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব শহরবাসীর একাংশ। অভিযোগ, যানজটের অজুহাতে রাজ্য সরকার ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার বিবাদী বাগে পরিবহন দফতরের দফতরের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে একদল ট্রামপ্রেমী।

বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন (CTUA)। যার সদস্যসংখ্যা ৫০০-রও বেশি। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী পরিবহন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংগঠনের কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ বসাক জানান, যারা ট্রাম ভালোবাসেন, যারা মনে করেন এটি পরিবহনের অপরিহার্য অংশ। তারা ‘আমাদের রাস্তা থেকে ট্রাম সরিও না’ এবং ‘ট্রাম বাঁচাও’ স্লোগান তুলে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নেবেন।

এদিকে, পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আগেই স্পষ্ট করেছেন, ট্রাম ধীরগতি এবং যানজটের অন্যতম কারণ, তাই রাজ্য এগুলি আর চালাতে চায় না। হাইকোর্টেও সে কথা জানানো হয়েছে। যদিও কিছু ট্রাম ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করা হতে পারে, কিন্তু আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্য অনুযায়ী ট্রাম উপযুক্ত নয় বলেই সরকারের দাবি।

আরও পড়ুন

কলকাতার ট্রামের ইতিহাস ১৫১ বছরেরও পুরনো। ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঘোড়ায় টানা গাড়ি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ট্রাম। ১৯০২ সালে এশিয়ার প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম চালু হয়েছিল এই শহরেই।

তথ্য বলছে, ২০১১ সালে শহরে ৩৭টি ট্রাম রুট ছিল, যা মহামারীর পরে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুটিতে। তখন ট্রামলাইনের দৈর্ঘ্য ছিল ৬১ কিলোমিটার, এখন তা ১২ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ। একসময় দিনে ৭০,০০০-এর বেশি যাত্রী ট্রামে যাতায়াত করতেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে কয়েক হাজারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement