Advertisement

Kolkata Tram: কলকাতার রাস্তা থেকে ট্রামলাইন তোলা যাবে না, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা রক্ষার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট ফের কড়া নির্দেশ দিল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আদালতের নিযুক্ত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শহরের কোনও ট্রামলাইন বন্ধ করা যাবে না।

বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ ট্রাম রুট চালুর ভাবনা।-ফাইল ছবিবালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ ট্রাম রুট চালুর ভাবনা।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 18 Feb 2025,
  • अपडेटेड 9:29 PM IST
  • কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা রক্ষার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট ফের কড়া নির্দেশ দিল।
  • মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আদালতের নিযুক্ত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শহরের কোনও ট্রামলাইন বন্ধ করা যাবে না।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা রক্ষার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট ফের কড়া নির্দেশ দিল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আদালতের নিযুক্ত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শহরের কোনও ট্রামলাইন বন্ধ করা যাবে না।

আদালতের নির্দেশ ও তদন্তের নির্দেশনা
হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ট্রামলাইন অপসারণ বা বন্ধের বিষয়ে রাজ্যকে আরও সতর্ক হতে হবে এবং কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। এছাড়া, খিদিরপুর ট্রামলাইন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশ।

এর আগেও হাইকোর্ট ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল এবং সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। পরে আদালত পুলিশ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞ, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে।

বিতর্কিত ট্রামলাইন বন্ধের অভিযোগ
জনস্বার্থ মামলাকারী পক্ষের দাবি, কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট এবং খিদিরপুরে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আদালতের নজরে আসার পর এই বিষয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে হাইকোর্ট।

ট্রামের ভবিষ্যৎ: বিকল্প ভাবনা রাজ্যের
পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, ময়দান থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত রুটে পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা চলছে। আদালত প্রস্তাব দিয়েছে, বেসরকারি সংস্থা আগ্রহী হলে তাদের সাহায্যও নিতে পারে রাজ্য সরকার।

পরবর্তী শুনানি ও ট্রাম রক্ষার লড়াই
দুই সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আদালতের নির্দেশ মেনে ট্রামলাইন সংরক্ষণ করা হবে কি না, তা নির্ভর করছে বিশেষ কমিটির রিপোর্টের উপর। তবে হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে আপাতত কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম পরিষেবা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকল।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement