ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণের জন্য ময়দানের একটি অংশে ব্যারিকেডিং গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। এবার পুরোদমে চালু হয়ে গেল ভূগর্ভস্থ ভিক্টোরিয়া স্টেশন তৈরির কাজ। এই স্টেশনটি ৩২৫ মিটার দীর্ঘ হবে এবং এর প্ল্যাটফর্ম স্তরটি পৃষ্ঠ থেকে ১৪.৭ মিটার গভীরতায় থাকবে। ১৬ কিমি জোকা-এসপ্ল্যানেড প্রকল্প (বেগুনি লাইন), এখন জোকা এবং মাঝেরহাটের মধ্যে চলছে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) কাজ করছে। করিডোরটি মোমিনপুর থেকে মাটির নীচে চলে গেছে। চারটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন হল খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড।
মেট্রো জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়া স্টেশনের জন্য প্রথমে ডায়াফ্রামের দেয়াল তৈরি করা হবে। এবং তারপরে কাট এবং কভার টপ-ডাউন পদ্ধতি অনুসরণ করে স্টেশন স্ল্যাব তৈরি করা হবে। এই ডায়াফ্রাম দেয়াল তৈরির জন্য স্টেশন সাইটে ক্রেন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এই স্টেশন তৈরির জন্য ২৯টি গাছ কেটে না ফেলে বেলেঘাটার কাছে কামারডাঙ্গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। কম্পনের প্রভাব ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সৌধের কোনও ক্ষতি হবে কী না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। কাজ চলাকালীন বাতাস ও শব্দের দূষণ যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এদিকে, এই করিডোরের টার্মিনাম বা শেষ স্টেশন তৈরির জন্য একটি বাজার সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মেট্রো। কিন্তু তার অনুমতি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দেয়নি। মেট্রোর পার্পল লাইনে মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্টেশনটি পড়বে। মাঝেরহাটের ভিক্টোরিয়ার আগের স্টেশনটি হবে খিদিরপুর। এবং ভিক্টোরিয়ার পরের স্টেশন হবে পার্কস্ট্রিট। তারপরই লাইনটি গিয়ে পড়বে এসপ্ল্যানেডে। এই লাইনের পুরো কাজ সম্পন্ন হলে বেহালা থেকে ধর্মতলা আসা খুবই সহজ হয়ে যাবে।