Advertisement

Kolkata zoo director transferred: কলকাতা চিড়িয়াখানা থেকে ৩২১টি প্রাণী গেল কোথায়? ফাঁস হতেই অধিকর্তাকে বদলি

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩২১টি প্রাণী হঠাৎ করে 'নিবন্ধন তালিকা' থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য বন দফতরের কাছে জমা পড়া বার্ষিক রিপোর্টে এই গুরুতর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, যা এখন তদন্তের মুখে।

আলিপুর চিড়িয়াখানা।-ফাইল ছবিআলিপুর চিড়িয়াখানা।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:47 PM IST
  • কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩২১টি প্রাণী হঠাৎ করে 'নিবন্ধন তালিকা' থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
  • রাজ্য বন দফতরের কাছে জমা পড়া বার্ষিক রিপোর্টে এই গুরুতর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, যা এখন তদন্তের মুখে।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩২১টি প্রাণী হঠাৎ করে 'নিবন্ধন তালিকা' থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য বন দফতরের কাছে জমা পড়া বার্ষিক রিপোর্টে এই গুরুতর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, যা এখন তদন্তের মুখে।

এক ঊর্ধ্বতন বন দফতরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তালিকায় ৬৭২টি প্রাণী নিবন্ধিত ছিল, কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খোলা মজুদের তালিকায় মাত্র ৩২১টি প্রাণী উল্লেখ আছে। অর্থাৎ, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ৩২১টি প্রাণী কোথায় গেল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই সংখ্যাগত ব্যবধান স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

এই ঘটনার জেরে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা অরুণ মুখার্জিকে দার্জিলিং-এর পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে বদলি করা হয়েছে। যদিও বন দফতরের দাবি, এটি একটি 'নিয়মিত বদলি', তবে সময়জ্ঞান এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে বদলিকে কেন্দ্র করে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে। মুখার্জির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিনিয়র আইএফএস অফিসার তৃপ্তি শাহ।

গত মাসেই পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী তদন্ত করে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ (CZA)-এর একটি দল সম্প্রতি কলকাতা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছে।

প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন এস সুন্দরিয়াল বলেন, 'আমরা রিপোর্ট পেয়েছি এবং তা বিশ্লেষণ করছি। ফলাফল যথাসময়ে জানানো হবে। সরকার স্বচ্ছতার দিকটি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।' তবে বদলির সঙ্গে প্রাণী তালিকার অসঙ্গতির কোনও যোগ আছে কি না, সে বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলতে চাননি।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে তদন্ত আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৪৯ বছরের পুরনো এই চিড়িয়াখানায় এত বড় প্রাণী-সংক্রান্ত অসঙ্গতি আগেও দেখা যায়নি বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তদন্তে সামনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement