Advertisement

Kumartuli: দেহ হাত-পা কেটে পিস করা হয়, কুমোরটুলি-কাণ্ডে ভয়াবহ পোস্টমর্টেম রিপোর্ট

কলকাতার কুমোরটুলি ঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা দুই মহিলাকে আটক করে। আটক মহিলাদের নাম ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা এক মহিলার লাশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের হেফাজতে নেয় এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Feb 2025,
  • अपडेटेड 10:41 AM IST
  • কলকাতার কুমোরটুলি ঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায়।
  • স্থানীয়রা দুই মহিলাকে আটক করে।

কলকাতার কুমোরটুলি ঘাটের কাছে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা দুই মহিলাকে আটক করে। আটক মহিলাদের নাম ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা এক মহিলার লাশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের হেফাজতে নেয় এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

ময়নাতদন্তের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল:
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রধান ফলাফলগুলি নিম্নরূপঃ

ঘাড়, হাত ও বাহুতে আঘাতের চিহ্ন:
ডান ঘাড়, ডান বাহু, ডান হাত, বাম হাত এবং বাহুতে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।
মাথার গুরুতর ক্ষত:
ডানদিকের টেম্পোরাল অঞ্চলে গভীর ক্ষত।
মাথার বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পায়ের আঘাত:
উভয় পায়ের গোড়ালিতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্কাল হেমাটোমা:
মাথার খুলি এলাকায় রক্ত জমাট বাঁধার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মৃত্যুর সময়:
ময়নাতদন্তের সময় থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান।

রাসায়নিক পরীক্ষার অপেক্ষা:
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত মতামত স্থগিত রাখা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি:
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আটক দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন আলামত।

এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, "ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি হত্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফলের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "দু’জন মহিলা লাশ নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেই আমরা পুলিশকে খবর দিই।"

পরবর্তী পদক্ষেপ:
রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা।
ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
হত্যার পেছনে মোটিভ খুঁজতে পারিবারিক এবং আর্থিক সম্পর্কের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদ বা আর্থিক বিষয় হত্যার পেছনে কারণ হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তের পরবর্তী ধাপে মৃতার পরিচয়, সম্পর্ক ও হত্যার মোটিভ আরও স্পষ্ট হবে।
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement