তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকদের মধ্যে অন্যতম কুণাল ঘোষ। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেতা-নেত্রী তা একাধিকবার বলেছেন কুণাল ঘোষ। সেই কুণাল ঘোষকেই বড় ‘পুরস্কার’ দিল জোড়াফুল শিবির। ফের তৃণমূলের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করলেন কুণাল ঘোষ। সোমবার নির্বাচন কমিশনে যে চিঠি জমা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে সাধারণ সম্পাদক পদে উল্লেখ রয়েছে কুণাল ঘোষের নাম। গত ১ মে সাধারণ সম্পাদক পদ চলে গিয়েছিল কুণালের।
গত মে মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাস পর ফের সেই পদে ফিরলেন কুনাল ঘোষ। তৃণমূলের পক্ষে একাধিক দায়িত্ব পালন করা কুনাল ঘোষকে ফের দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এবার আর ঢাকঢোল পিটিয়ে নয়, নিঃশব্দে পদ ফিরে পেলেন কুণাল ঘোষ। আজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস যে স্মারকলিপি জমা দেয়, তাতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে জেনারেল সেক্রেটারি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে। তৃণমূলের তরফে গত ১ মে বিকেলে জারি করা ওই বিবৃতিতে সই ছিল দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের। বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, ‘‘সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন অনেক কথা বলছিলেন, যা দলের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই এটা বোঝানো অত্যন্ত দরকার ছিল যে, উনি যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন সেই সময় কুণাল। দলের অস্বস্তি বাড়ানোয় লোকসভা নির্বাচনের আগেই শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। এবার অবশ্য উপ-নির্বাচনের আগেই ফেরত পেলেন সেই পদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুনাল ঘোষের ফের সাধারণ সম্পাদকের পদে নিযুক্তি দলের নেতৃত্বের বিশ্বাসের প্রতিফলন। দলীয় কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে, এবং তার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক দক্ষতার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে, কুনাল ঘোষের ভূমিকা দলের বাইরে কিছুটা কমলেও, এবার তাকে আবার দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিয়ে আসা হয়েছে।দল কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলেও, বিরোধীদের আক্রমনে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা কাজ করার কাজ চালিয়ে গেছেন কুনাল ঘোষ।