বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখটি পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর সেই পোস্ট নতুন করে জল্পনার জন্ম দিল। না, নিছক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পোস্ট হলেও, কয়েকটি শব্দবন্ধ নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের পোস্ট, 'শুভ বিজয়া। বড়দের প্রণাম। বাকিদের শুভেচ্ছা। ঝড়-জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমার জীবন। ঈশ্বর এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় কাজ করে যাই এবং যাব। আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন। তবে গ্যালারিতে আসবেন বা টিভিতে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন। ম্যাচ জমবে। জয় মা।'
ভোটের ময়দানে তৃণমূলের প্রচার মানেই 'খেলা হবে' স্লোগান। ২০২১-এর পর ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনেও এই জনপ্রিয় স্লোগানের বিপুল ব্যবহার দেখা যাবে। কিন্তু কুণাল ঘোষের পোস্টে কোন খেলার কথা বলতে চাইলেন তিনি? কোন অঙ্ক দেখছেন তিনি?
কুণাল ঘোষ অবশ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এ পোস্ট আবেগ থেকেই করা। একদমই ব্যক্তিগত অনুভূতি এটি তাঁর। নিজের পোস্টে যে বাঁকের কথা বলছেন, সেটা কি কোনও রাজনৈতিক বাঁক? কুণাল এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'কেউ যদি আমায় স্নেহ করেন, আমি তাঁর জুতো পালিশও করে দিতে পারি। আবার যত বড় মাপের কোনও মানুষ হন না কেন, আমার উপর অন্যরকম চেষ্টা করছে, ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র চেষ্টা হলেও আমার চেহারা অন্যরকম হবে। জীবন পথে চলার বাঁকের কথা বলেছি আমি। আমার কাছে কৃতজ্ঞতা, আনুগত্য বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু দম বন্ধ লাগছে, এসব বলার বালাই নেই আমার।' এরপরই হিন্দি গানের দুকোলি গেয়ে কুণাল বলেন, 'দুখী মন মেরে, শুন মেরা কহনা। যাহা নহি চ্যায়না, ওহা নহি ব়্যায়না।' অর্থাৎ যেখানে ভাল লাগছে না কিংবা মন টিকছে না, সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই ভাল। এটি কি বড় কোনও ইঙ্গিত? জল্পনা এখন তুঙ্গে।