Advertisement

Kunal Ghosh: 'মমতা কখনও টাটার বিরোধিতা করেননি,' কুণালের মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন টাটা গোষ্ঠীর বিরোধিতা করেননি বলে মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ। একটি বণিক সভায় সাম্প্রতিককালের টাটা-মমতা সাক্ষাৎ এবং সিঙ্গুর আন্দোলন প্রসঙ্গ উঠতেই কুণালের মুখে শোনা গেল এই মন্তব্য। কীসের ইঙ্গিত দিলেন তিনি?

টাটার কর্ণধারের সঙ্গে মমতা (বাঁ দিকে), কুণাল ঘোষ (ডান দিকে) টাটার কর্ণধারের সঙ্গে মমতা (বাঁ দিকে), কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 15 Jul 2025,
  • अपडेटेड 9:05 AM IST
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন টাটা গোষ্ঠীর বিরোধিতা করেননি
  • একটি বণিক সভায় এই মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ
  • রাজ্যে বিনিয়োগের নতুন কোনও ইঙ্গিত?

নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ। সাম্প্রতিককালের এই সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি রাজ্যে এবার নয়া বিনিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী? রাজ্যে নতুন বিনিয়োগের আশা নিয়ে সোমবার এক বণিক সভায় বড় ইঙ্গিত শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের মুখে।

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন টাটার বিরোধিতা করেননি। তিনি কোনও দিন বলেননি যে শিল্প হবে না। বিরোধিতা ছিল পূর্বতন রাজ্য সরকারের নীতি নিয়ে। টাটার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিরোধিতা ছিল না। বাম সরকার যেভাবে দো-ফসলি জমিগুলিকে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছিল, সেটা নিয়েই প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা।’

উল্লেখ্য, টাটা গোষ্ঠীর কারখানা ঘিরেই সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন শুরু হয়েছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা তাঁর ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে এবং পরেও মমতা একাধিকবার বলেছিলেন, 'আমরা কখনওই টাটার বিরুদ্ধে নই।' তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার যে কায়দায় জোর করে জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন বলে বারবার মন্তব্য করেছেন। তবে সেই সময়ে সিঙ্গুরে টাটার পণ্য বয়কটের ডাকও উঠেছিল। 

কিন্তু সেসব এখন অতীত। তবে কি এখন টাটা-মমতা মিলমিশ হয়ে গেল? কুণালের বার্তায় ইঙ্গিত মিলেছে তেমনটাই। বণিক সভায় কুণাল বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিঙ্গাপুরে গিয়ে শিল্প নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মাদ্রিদে গেলেন, সেখানকার শিল্পপতিরা তাঁর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। রাজ্যের শিল্প ও শিল্পবান্ধব পরিস্থিতিতে যে অনেকটাই বদল এসেছে, এটা তারই প্রমাণ।’

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের বর্তমান শাসকদল ও শিল্পের সম্পর্ক নেতিবাচক। চলতি বছরে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সময় টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মমতার ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে সম্মেলনে টাটা গোষ্ঠীর প্রথম সারির কেউ ছিলেন না। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, 'টাটারা বাংলার জন্য অনেক কিছু করতে চায়।' এখন দেখার তেমন বড় কোনও বিনিয়োগ বাংলার জন্য টাটার ঝুলিতে রয়েছে কি না। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement