একাদশীর দিন তাঁর পোস্ট এবং সংবাদমাধ্যমে করা মন্তব্য জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল, তবে কি বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় কোনও ইঙ্গিত দিতে চলেছেন কুণাল ঘোষ? এবার দ্বাদশীর দিন আরও একটি পোস্ট করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দল ছাড়ার জল্পনা নিয়েও জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
শনিবারের পোস্টে কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবিটি তুলে ধরেন। এরপরই লেখেন, 'প্রথম সরাসরি আলাপ ১৯৮৭ সালে। তারপর দীর্ঘ যোগাযোগ। প্রবল স্নেহ পেয়েছি। নানা অভিজ্ঞতা। সেই সুসম্পর্কটা অনের সহ্য হয়নি। ফলে জীবনের কঠিনতম দিন দেখেছি আমি। অভিমান ছিল কিন্তু দল ছাড়ার কথা ভাবিনি, ছাড়িনি।'
বর্তমান অবস্থান স্পষ্ট করেই কুণাল লেখেন, 'দিনকাল বদলেছে, পুরনো স্মৃতিতে নতুনের সংযোজন। আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাওয়া সৈনিক তার কর্তব্যে অবিচল এখনও।' পাশাপাশি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি জানান, বাংলা আগের থেকে ভাল আছে। অন্য রাজ্যের থেকেও ভাল আছে।
এদিকে, শুক্রবারের পোস্টে কুণাল লিখেছিলেন, 'আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন।'
কিন্তু পোস্টে কোন খেলার কথা বলতে চাইলেন তিনি? কোন অঙ্ক দেখছেন তিনি? নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। নিজের পোস্টে যে বাঁকের কথা বলছেন, সেটা কি কোনও রাজনৈতিক বাঁক? কুণাল বলেন, ''কেউ যদি আমায় স্নেহ করেন, আমি তাঁর জুতো পালিশও করে দিতে পারি। আবার যত বড় মাপের কোনও মানুষ হন না কেন, আমার উপর অন্যরকম চেষ্টা করছে, ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র চেষ্টা হলেও আমার চেহারা অন্যরকম হবে। জীবন পথে চলার বাঁকের কথা বলেছি আমি। আমার কাছে কৃতজ্ঞতা, আনুগত্য বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু দম বন্ধ লাগছে, এসব বলার বালাই নেই আমার।' এরপরই হিন্দি গানের দুকোলি গেয়ে কুণাল বলেন, 'দুখী মন মেরে, শুন মেরা কহনা। যাহা নহি চ্যায়না, ওহা নহি ব়্যায়না।'