ঘূর্ণিঝড় রিমাল (Cyclone Remal)-এর প্রভাবে সপ্তাহের শুরুতেই কাজের দিনে চরম দুর্ভোগ। ট্রেন, মেট্রোরেল থেকে ফেরি সার্ভিস-- সবেতেই নাজেহাল মানুষ।
শিয়ালদায় বাতিল ট্রেন ও মেট্রো চলাচলও ব্যাহত
লাইনে জল জমায় সকালে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল (Train Cancel)। লাইনে জল জমায় ১০টা থেকে ধীরে ধীরে পরিষেবা শুরু হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক ভিড় ট্রেনে। অন্যদিকে মেট্রো রেলও ঘোষণা করে দিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশপার্ক ও কবি সুভাষ থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার পর্যন্ত চলবে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হল, হাওড়া থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিসও। ওদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে একের পর এক বিমান বাতিল করা হয়েছে।
হাওড়ায় বন্ধ করা হয়েছে ফেরি সার্ভিস
শনিবার থেকে আগামী তিন দিন ২৭ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ হুগলি জেলার সমস্ত ফেরিঘাটগুলি। এমনই নোটিশ ঝোলানো হয়েছে জেলার সমস্ত ফেরিঘাট গুলিতে। সকাল থেকেই ফেরি পারাপার করতে আসা যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে, তবে সতর্কতার কারণে ঘুরপথ অবলম্বন করছেন যাত্রীরা।
বাবুঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস রবিবার বন্ধ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে সোমবারেও তা বন্ধই রইল। টিকিট কাউন্টারের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম
কলকাতায় বিভিন্ন রাস্তায় জল জমেছে। ফলে বাসও বিশেষ নেই রাস্তায়। যে গুটি কতক ট্যাক্সি চলছে, মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া চাইছে। কলকাতা বিমানবন্দরেও একাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়ায় বিমান বাতিল ঘোষণা করা হচ্ছে।
আজ অর্থাত্ সোমবারও রাজ্যের দুই জেলায় লাল সতর্কতাও জারি রয়েছে। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। সাময়িক ভাবে দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও। এই দুই জেলায় সোমবার ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে।