লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, ১ মার্চ রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি বাহিনী। তারপরে ৭ মার্চ আসবে আরও ৫০ কোম্পানি। রাজ্যে এসেই এই বাহিনী এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করবে। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন বলছে বিভিন্ন মহল।
লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন । সবকটি রাজ্যের মধ্যে বাংলার জন্যেই সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে স্ট্রং রুম ও ইভিএমের নিরাপত্তার জন্য কনমিশন রাখতে চাইছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়। বর্তমানে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তার সমস্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে । বাংলায় ভোটে সন্ত্রাস হয়, সেই কারণেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। এরসঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্দেশখালির ঘটনাও নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশকে। এই ঘটনার পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা দেখা গিয়েছে তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো চিঠি অনুসারে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন।
বাংলার পরে সবচেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের জন্য। ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাহিনী চাওয়া হয়েছে। মাওবাদী উপদ্রূত ছত্তিসগড়ের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬০ কোম্পানি বাহিনী রাখার পরিকল্পনা কমিশনের।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে ৩ মার্চ। সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা তাদের। ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করবে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। একইসঙ্গে এ রাজ্যের প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতিও খুঁটিয়ে দেখবে তারা। সেইমতো কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, কী কী নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তারও খসড়া তৈরি হবে। সূত্রের খবর, ১৩ মার্চের পরে ভোটের দিনশ্রণ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।