সামনেই লোকসভা ভোট। লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি তৈরি করল বিজেপি। রবিবার সল্টলেকের বিজেপি দফতরে চূড়ান্ত কমিটি তৈরি করা হয়। কমিটির প্রথম নাম বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের, তারপর রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লাও। এদের নামের পরেই দিলীপ ঘোষের নামও আছে কমিটিতে , আছে প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার নামও। তবে কমিটির চেয়ারম্যান কে হবেন সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
২০ জনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন পাঁচজন। লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মণ এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে চারজনের – অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া। চেয়ারম্যান কে হবেন সেই নিয়ে জল্পনা থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি এদিন। তবে সব দিকে ভারসাম্য বজায় রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই কমিটিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, সুকান্ত ও শুভেন্দুর সঙ্গে একই দায়িত্ব পালন করবেন দিলীপ ঘোষও। সংগঠন তৈরিতে দক্ষতার কথা মাথায় রেখেই দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের পরিচালন কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র থাকলেও কমিটিতে অন্য কোনও মোর্চার পদাধিকারী নেই। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের ভিতর থেকে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে মূলত রাজ্য নেতা হিসাবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এছাড়াও কমিটিতে বড় ভূমিকায় থাকছেন অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ। বাকিরা থাকছেন প্রচারের দায়িত্বে। এর উপরে থাকবেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় নেতা। পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। আশা লাকড়া কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব রয়েছে সুনীল বনসলের। যুব মোর্চার সামগ্রিক দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলা, ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার ভোটের দায়িত্বও তাঁর উপর। এবার ভোট পরিচালন কমিটিতেও তাঁকে রাখা হয়েছে।