প্রত্যেক পড়ুয়ার মধ্যেই কিছু না কিছু সুপ্ত গুণ বা প্রতিভা থাকে। দরকার সেই প্রতিভাকে টেনে বার করে আনার। কেউ গানে ভাল, কেউ আঁকায়, কেউ আবার ভাল অভিনয় করতে পারে, কেউ আবার ফুটবল বা ক্রিকেট খেলায় পারদর্শী। তেমনই একটি প্রতিভার স্ফূরণ দেখা যায় খুদেদের মধ্যে। সেটা হল ম্যাজিক। সেই প্রতিভার বিকাশেই উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। জাদু মানে পারফর্মিং আর্ট। একটা শিল্প। সেসবরেই শেখাতে ৩ দিনের কর্মশালার আয়োজন করল শিশু কিশোর আকাদেমি।
আগামী ১২ থেকে ১৪ জুলাই, তিনদিন হবে এই কর্মশালা। যার নাম 'এসো ম্যাজিক শিখি'। আলিপুরের উত্তীর্ণ অডিটোরিয়ামে সকাল থেকে ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত হবে কর্মশালা। কোনও টাকা লাগবে না। রাজ্যের যেকোনও স্কুলের পড়ুয়ারাই আবেদন করতে পারবে। কর্মশালা শেষে শংসাপত্র দেওয়া হবে। কেউ ম্যাজিক নিয়ে এগোতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও করে দেবে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। কর্মশালা শেষে ম্যাজিক দেখাবে খুদেরা। হবে ম্যাজিক শো।
শিশু কিশোর আকাদেমির এক কর্তা বললেন, 'ম্যাজিক কোনও জাদু নয়, পারফর্মিং আর্ট। এর পেছনে অলৌকিক কিছু নেই। বাচ্চারা এটাও বুঝতে পারবে কর্মশালায় এসে। গতবছর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ৪০ জন অংশ নিয়েছিল। তাই এবছরও কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ম্যাজিশিয়ানরা এসে বাচ্চাদের শেখাবেন। বাচ্চাদের ম্যাজিকের প্রতি আগ্রহ প্রচুর। শিখতে পারলে তারাও ম্যাজিক দেখাতে পারবে স্কুলে।'
তথ্য সংস্কৃতি দফতর সূত্রে জানা গেল, ক্ষুদেরা ম্যাজিক দেখার পাশাপাশি, সেই ম্যাজিক কী ভাবে সহজে নিজেরা দেখাতে পারবে তার কৌশল রপ্ত করার সুযোগ মিলবে কর্মশালায়। ম্যাজিকের উপকরণ, তার ব্যবহার, এবং উপস্থাপনার সময় কথা বলার কৃৎ-কৌশলও শেখানো হবে। ম্যাজিক যে কোনও ভৌতিক ব্যাপার নয়। এটা একটা আর্ট, আর মন্ত্র,তন্ত্র নয়, ম্যাজিশিয়ানের মুন্সিয়ানায়র ওপরই ম্যাজিকের মান নির্ভর করে তাও এই কর্মশালা থেকে সহজে বুঝে নিতে পারবে ক্ষুদে ম্যাজিশিয়ানরা। মুলত,ম্যাজিকের প্রতি নুতন প্রজন্মের আকর্ষন বাড়ানো ও নুতন ম্যাজিশিয়ান তৈরীই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।