Advertisement

Mahua Moitra: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন রুখতে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্র, কী আর্জি?

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, আগে থেকে ভোটার তালিকায় নাম থাকা ভোটারদের ফের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বলা হচ্ছে। বাংলাতেও যেন কোনওমতেই এই ধরনের নির্দেশিকা চালু না করা হয়, সে আর্জিও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 06 Jul 2025,
  • अपडेटेड 11:29 AM IST
  • নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া
  • ভোটারদের ফের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বলার অভিযোগ
  • বাংলাতে যেন এই ধরনের নির্দেশিকা চালু না করা হয়, সে আর্জিও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ মহুয়া মৈত্রর। সেই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগরর সাংসদ। অবিলম্বে ওই নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে একইরকম নির্দেশ যাতে বাংলা বা অন্য কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে না দেওয়া হয়, সেই আর্জিও রেখেছেন মহুয়া।

তবে মহুয়া একা নন, নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। শনিবারই মামলা করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’। এছাড়া বিহারে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি আলাদা করে মামলার তোড়জোড় করছে এই নির্দেশিকার বিরোধিতায়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, বিহারের ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (SIR) করা হবে। যাঁদের নাম ওই তালিকায় আছে, তাঁদেরও নির্দিষ্ট নথি দেখাতে হবে। আধার কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো নথি এক্ষেত্রে গণ্য হবে না। দেখাতে হবে জন্মের শংসাপত্র। চলতি বছরের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই নির্বাচন কমিশনের এহেন নির্দেশ নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে দেশজুড়ে।

বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে ভোটার তালিকা সংশোধন করা হলে বহু মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন, যা গণতন্ত্রের বিরোধী। এই অভিযোগ তুলেই মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আবেদনে লিখেছেন, ‘কমিশনের এই নির্দেশ ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯(১), ২১, ৩২৫, ৩২৬ ধারা, জনপ্রতিনিধি আইন এবং ভোটার নিবন্ধনের নিয়ম লঙ্ঘন করছে। এই নির্দেশ যদি বাতিল না করা হয়, সেক্ষেত্রে বহু মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন। এটা গণতন্ত্রের অসম্মান এবং দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাঁধা।’ অন্য কোনও রাজ্যে যাতে এইরকম নির্দেশ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করারও আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

আদালতে মামলার করার নথি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের SIR-এর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এইমাত্র সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা করলাম। বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যে যাতে এই পদক্ষেপ না করা হয়, তার জন্য স্থগিতাদেশও চেয়েছি।’ মহুয়ার বক্তব্য, ‘যে সমস্ত ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে, বহু বার যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরই আবার নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে বলা হচ্ছে! নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের পদক্ষেপ দেশে প্রথম। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় তখনই যোগ করা হবে, যখন তাঁরা নাগরিকত্বের নথি জমা দেবেন। তাঁদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্বেরও প্রমাণ দিতে হবে। না দিতে পারলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে! এটা সংবিধানের ৩২৬ ধারার বিরোধী।’

Advertisement

কমিশনের নির্দেশিকায় বিরোধীদের আশঙ্কা , পরিযায়ী শ্রমিক, দলিত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। ভোটার হিসেবে যোগ্যতা প্রমাণের দায় আমজনতার কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ গরিব, প্রান্তিক মানুষ সমস্যার মুখে পড়বেন। বহু পূর্ণবয়স্ক মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন।

বিহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সাফাই, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, 'সকলের সহযোগিতায় ও পুরো দক্ষতার সঙ্গে বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।'

Read more!
Advertisement
Advertisement