সমাসন্ন বাংলার বিধানসভা ভোট। মাঝ অক্টোবরে বাতাসে শীত শীত ভাব। তবে বঙ্গভূমি সরগরম নিত্য রাজনৈতিক তরজায়। গতবার রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়েছিল 'নন্দীগ্রাম'। শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সম্ভাব্য ভরকেন্দ্র 'ভবানীপুর'। মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র। যে ভবানীপুরে তাঁকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে কি সাবধানী মমতা? তাঁর একটি অভিযোগই উস্কে দিয়েছে এই প্রশ্ন। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, বহিরাগত দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভবানীপুর। মোদ্দা কথায়, জনবিন্যাস বদল!
উত্তরবঙ্গ থেকে ভবানীপুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোবাইল মারফত কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর বার্তায় এসেছে, বহিরাগত-তত্ত্ব। ঠিক কী বলেছেন নেত্রী? মমতা বলেন,'আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এটাকে সমর্থন করি না। আমাদের ভোটারদের আপনারা তাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা বাংলার বাড়ি তৈরি করে দিতে পারি। বহিরাগত দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভবানীপুর'।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও যে এর পিছনে রয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দেন মমতা। বলেন,'হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে স্থানীয়ভাবে কাউকে কিছু টাকা দিয়ে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে নিচ্ছে। আমরা কেন এটা বুঝব না, আগে আমার দল। আগে আমার গরিব মানুষ। আমাদের সকলের সঙ্গে মিশতে হবে'।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির ভোটে বহিরাগত ভোটের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। আম আদমি পার্টির অভিযোগ ছিল, বহিরাগতদের নাম তোলা হয়েছে ভোটার তালিকায়। একই অভিযোগ ছিল, মহারাষ্ট্রের ভোটেও। তাই কি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মমতা? নিজের কেন্দ্রেই বহিরাগত ভোটার বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত! দলকে তাঁর নির্দেশ,'প্ল্যানিং করে বহিরাগত দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভবানীপুর। সামনে ভোটার তালিকা সংশোধন হলে, সবাইকে নতুন করে নাম তুলতে হবে'।
মমতার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'কেউ বাইরে থেকে লোক ঢোকাচ্ছে না। সকলেই তাঁর নিজের কেন্দ্রের ভোটার। ওঁর কাজ দেখেই লোকে ভোট দেবেন'।