সমাসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কি আরও একবার বিজেপির গায়ে নারীবিরোধী তকমা সেঁটে দিতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পার্ক সার্কাসের ভাষণে অন্তত তেমন ইঙ্গিতই মিলল। মমতা বললেন,'তোমরা সীতার নাম একবারও নাও না। তোমরা কি মহিলা বিরোধী?'
এ দিন মমতা বলেন,'আমি রামের বিরুদ্ধে নই। আমি রাম-সীতাকে শ্রদ্ধা করি। কাই তোমরা সীতার নাম তো একবারও উচ্চারণ করো না! তোমরা কি মহিলা বিরোধী? মা না থাকলে রাম জন্মাত না। আমরা জানি, রামচন্দ্র দুর্গাপুজো করেছিলেন। আমাদের কাছে মা দুর্গা শ্রেষ্ঠ।'
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে সিংহভাগ মহিলার ভোটই পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দুশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফেরে মমতার দল। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্প তো আছেই, সেই সঙ্গে তৃণমূলের প্রচারও অনুঘটকের কাজ করেছে। 'বাংলার মেয়ে' বলে মমতার ছবি দিয়ে প্রচারে ছয়লাপ করেছিল তৃণমূল। বাংলার মেয়ে বনাম বহিরাগত লড়াইয়ে জেতেন মমতাই। সদ্য মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটেও বিজেপি মহিলার ভোটে ভর করেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াকে পরাজিত করেছে। সামনের লোকসভা ভোটেও মহিলা ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, তাই কি মমতা কৌশলে বিজেপিকে মহিলা বিরোধী তকমা দিয়ে অস্ত্রে শান দিয়ে রাখলেন, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
সিপিএম ও বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলায় সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর ত্রাতা তিনিই। তৃণমূল নেত্রী বলেন,'৩৪ বছর সিপিএমকে আপনারা ক্ষমতায় রেখেছিলেন। একটা মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশান করেনি। কোনওদিন দুর্গাপুজোয় যেত না, তারা নাকি নাস্তিক! আমি ধর্ম মানি। আমার ধর্ম আমার। যার যার ধর্ম, উৎসব কিন্তু সবার। ইদের দিন আমন্ত্রণ করলে আমি যাই। রমজান মাসে যাই। ববি জানে, আমিও রোজা রাখি, উপোস করি। ছোলা সেদ্ধ করে দেয়, সেটা লুকিয়ে আনে। আমার চেয়ে বেশি গুরুদ্বারে কেউ বেশি যায়নি। হরিশ মুখার্জি রোডের গুরুদ্বারে যাই। হালুয়াটা ভাল হয়। ওরা আমাকে দেয়।'