
SIR বিরোধী মিছিল শেষে সভা থেকে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তাঁর দাবি, বাংলাকে টার্গেট করেছে বিজেপি। ওদের লক্ষ্য বাংলা থেকে ২ কোটি নাম বাদ দেওয়া।
মঙ্গলবার আম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে মিছিল শুরু করে তৃণমূল। ঠাকুরবাড়িতে তা শেষ হয়। সেখানেল বক্তব্য রাখেন মমতা। তিনি জানান, আধারকার্ড বানাতে হাজার টাকা করে নিয়েছিল এই সরকার। অথচ এখন বলছে আধার কার্ড নাগরিরকত্বের প্রমাণ নয়। তাহলে এত টাকা কেন তোলা হয়েছিল আধার কার্ড বানানোর জন্য?
মমতার দাবি, বিজেপি বলছে এখনকার ভোটারকার্ড নাকি বৈধ নয়। তাহলে তো এই সরকারও অবৈধ, বলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'যদি এই ভোটার কার্ডের তালিকা মিথ্যা হয়, তাহলে আপনারাও অবৈধভাবেই ক্ষমতায় আছেন। ওদের লক্ষ্য হল প্রতি বছর কিছু না কিছু করে মানুষকে বিপদে ফেলা। ৫০০ টাকার নোট বাতিল করে দেশের মানুষকে বিপদে ফেলেছিল। তখন আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। নোটবন্দীতে শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু কালো টাকা তো ফেরত আসেনি। তাহলে লাভ কী হল? যখন যেটা মর্জি সেটা করে এই সরকার। এভাবে চলতে পারে না।'
তারপরই তাঁর সংযোজন, 'আসলে বাংলার উপর ওদের খুব রাগ। কারণ ওরা জানে, বাংলাকে দমন করা যাবে না। ওরা ভাবছে ২ কোটি মানুষের নাম বাদ দেবে। তারপর বাংলাদেশে বা ডিটেনশন ক্য়াম্পে পাঠানো হবে। তবে এবার সেই সব মানুষরা আমাদের ভোট দেবে। কারণ এটা তাদের অস্তিত্বের সংকট।'
মমতার দাবি, একাধিক জেলায় ভোটারদের সংখ্য়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে জানান, 'কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ভোটার তালিকা দেখলাম। আগে ৭০০ ভোটার ছিল। এখন দেখছি ম্যাপিংয়ে ৫২৬ জন ভোটারের নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।'
এর আগে নির্বাচন কমিশন SIR করার জন্য দুই থেক আড়াই বছর সময় নিয়েছিল। সেক্ষেত্রে এখন কেন ভোটের আগে তড়িঘড়ি সংশোধন করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, 'শেষ SIR বাংলায় হয়েছিল ২০০১ সালে। তখন দুই থেকে আড়াই বছর ধরে সময় লেগেছিল। এখন কেন হঠাৎ করা হবে? একটা নামও বাদ গেলে বিজেপিরসরকার ভেঙে দেব। আমাদের কাছেও তথ্য কম নেই।'