Advertisement

Mamata Banerjee: CPIM-এর মার খেয়েও কীভাবে এখনও ফিট মমতা? রোজকার রুটিন জানালেন নিজেই

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্মরণ করান ১৯৯০ সালের হাজরার ঘটনার কথা। CPIM তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল বলে ফের অভিযোগ করেন মমতা। কীভাবে সুস্থ এবং শক্ত সমর্থ রয়েছেন তিনি? জানালেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 21 Jul 2025,
  • अपडेटेड 4:46 PM IST
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্মরণ করান ১৯৯০ সালের হাজরার ঘটনার কথা
  • CPIM তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল বলে ফের অভিযোগ
  • কীভাবে সুস্থ এবং শক্ত সমর্থ রয়েছেন তিনি?

এবারের একুশে জুলাইয়ে বক্তব্যের শুরু থেকে আগাগোড়া BJP-কে আক্রমণ করলেও তাঁর নিশানায় ছিল CPIM-ও। বামেদের হাতে তিনি মার খেয়েছেন, একথা ফের একবার স্মরণ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি সিঙ্গুরে লড়াই করেছি, নন্দীগ্রামে লড়াই করেছি, ২১ জুলাই লড়াই করেছি। আপনারা জানেন তো ১৯৯০ সালে বামপন্থী বন্ধুরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন হাজরার মোড়ে। আমার মাথা ফাটিয়ে চৌচিড় করে দিয়েছিল। মারতে মারতে আমার গোটা শরীরটা ভেঙে দিয়েছিল।'

শারীরিক অত্যাচারের পরেও তিনি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কীকরে, একথারও ব্যাখ্যা দেন মমতা নিজেই। তিনি বলেন, 'শুধু হাঁটি আর এক্সারসাইজ করি বলে আজও আমি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি।'

দিনটা ছিল ১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট। হাজরা মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে CPIM যুবনেতা লালু আলমের বিরুদ্ধে। CPIM-এর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে, মাথা ফেটে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কংগ্রেসের যুবনেত্রী। সেদিন বনধ ডেকেছিল কংগ্রেস। বনধের সমর্থনে হাজরা মোড়ে রাস্তায় নামেন যাদবপুরের তৎকালীন সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই CPIM-এর যুবনেতা লালু আলম ও তাঁর দলবলের হাতে তিনি আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর আঘাত পান মমতা। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলে মমতার। 

হামলার পরে রাজ্যে বাম-বিরোধী রাজনীতির শিরোনামে চলে আসেন মমতা। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলাও চলতে থাকে। ১৯৯৪ সালে একবার সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু বাম সরকারের আমলে মামলা গতি পায়নি। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে মামলায় গতি আনার চেষ্টা হয়। সেই কিন্তু সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রায় সবাই প্রয়াত। চার্জশিটে নাম থাকা ১২ জনের মধ্যে লালু আলম ছাড়া বাকিরা হয় মৃত, নয়তো পলাতক। ২০১৯ সালে অভিযুক্ত লালু আলমও বেকসুর খালাস হয়। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement