
রাজ্যবাসীকে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে নয়, এই কার্ড থাকলে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যায় বেসরকারি হাসপাতালেও। রাজ্যের সাধারণ মানুষ তো বটেই পরিযায়ী কর্মীরাও এখন এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে পারেন। ২০১৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পটি চালু করেন। এই প্রকল্প নিয়েই এবার বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার এই তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকার ক্যাশলেস হেলথ বেনেফিট দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।
কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও বাসিন্দা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। যদি কেউ অন্য কোনও রাজ্যের কোনও প্রকল্পের আওতায় থাকেন, তবে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৮ কোটি পশ্চিমবঙ্গবাসী এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পান।' রাজ্যের সাধারণ মানুষ তো বটেই পরিযায়ী কর্মীরাও এখন এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পান। তবে কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের নাম অন্য কোনও রাজ্যের হেলথ স্কিমে থাকলে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা মিলবে না।
অনেক সময়েই দেখা যায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলছেন রোগীরা। বেসরকারি এমনকী সরকারি হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা আখছাড় সামনে আসে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'IT প্ল্যাটফর্ম এবং সময়মতো হাসাপাতালে পেমেন্ট সিস্টেম এই প্রকল্পের পরিষেবা আরও দ্রুততর করে তুলেছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বদা আপনাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।'
কীভাবে আবেদন?
স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন করা যায় 'দুয়ারে সরকার ক্যাম্প'-এ গিয়ে। তাছাড়াও অনলাইনেও এই জন্য আবেদন করা যায়। অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে swasthyasathi.gov.in -এ যেতে হবে। হোমপেজে 'Apply Online' এ গিয়ে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে 'ONLINE APPLICATION FOR SWASTHYA SATHI'-তে ক্লিক করলেই একটা নতুন পেজ খুলে যাবে। সেখানে মোবাইল নম্বর দিয়ে 'GET OTP' বাটনে ক্লিক করতে হবে। মোবাইলে আসা OTP সঠিক জায়গায় লিখে সাবমিট করতে হবে। সেখানে যে সমস্ত তথ্য চাওয়া হবে তা দিয়ে আবেদন করতে হবে।