Advertisement

'আজ থেকেই পুজো,' ঘোষণা মমতার, ধন্যবাদ পদযাত্রা শুরু

বৃহস্পতিবার মিছিল শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"পুলিশ কর্মীদের স্যালুট। আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ, কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ করার জন্য। যাঁরা গোটা বিশ্ব থেকে এটি দেখছেন তাঁদেরকেও ধন্যবাদ।" 

পদযাত্রায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়পদযাত্রায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Sep 2022,
  • अपडेटेड 2:26 PM IST
  • ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল
  • উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • পুলিশকে জানালেন ধন্যবাদ

পুজোর ঢাকে কাঠি দিয়ে দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিলের প্রারম্ভে কার্যত তেমনটাই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বৃহস্পতিবার মিছিল শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"পুলিশ কর্মীদের স্যালুট। আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ, কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ করার জন্য। যাঁরা গোটা বিশ্ব থেকে এটি দেখছেন তাঁদেরকেও ধন্যবাদ।" 

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোক হেরিটেজ ঘোষণা করায় ধন্যবাদজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এই মিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এদিন শহের বুকে আয়োজন করা হয় মিছিল। কলকাতার কমপক্ষে ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মিছিলে পা মিলিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন রাজ্য সরকারের বেশকয়েকজন মন্ত্রী। অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা। এছাড়াও রয়েছেন প্রচুর বাউল শিল্পী।

এই মিছিলের জেরে এদিন শহরের বেশকিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বন্ধ বন্ধ রাখা হয় রেডরোডের মতো রাস্তা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বন্ধ রাখা হচ্ছে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। দুপুর ৩টে পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে। বন্ধ রাখা হতে পারে ডোরিনা ক্রসিংও। এছাড়াও বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া এই মিছিলের জেরে শহরের কয়েকটি স্কুলে এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আংশিক ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে কোনও কোনও স্কুলে। 

আরও পড়ুন

সমালোচনায় বিরোধীরা

তবে এই মিছিলের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "কাজকর্মের কথা বলবেন না। সরকারি পয়সায় খাওন দাওন ফূর্তি করুন। দুর্গাপুজোর ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আনন্দ ফূর্তি যতদিন চলে ততদিন চলুক ধারদেনা করে। তারপর যা হওয়ার হবে। চাকরিবাকরি ইন্ডাস্ট্রি কলকারখান কিছু নেই। লেখাপড়াও উঠে যাচ্ছে স্কুল কলেজ থেকে। এরম একটা মূর্খদের রাজ্য তৈরি করে এখানে পার্মানেন্ট উনিই রাজত্ব করবেন। বোম্বাগড়ের রাজার মতো। এটাই ওনার রেসিপি, রাজনীতি। লুঠপাট হচ্ছে, ভাবার দরকার নেই, আমি তো আছি। আসুন না, আনন্দ করুন । এভাবে রাজনীতি চলছে। বাংলাকে শ্মশান করে দিয়ে যাবেন, বন্ধ্যা করে দিয়ে যাবেন। আগামী দিনে আর কিছই থাকবে না।" 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement