'গোপনে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাভাষীদের সন্দেহ হলেই ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে হবে'। বুধবার পদযাত্রা শেষে ধর্মতলার সভা থেকে এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,'হাজারের কাছাকাছি লোককে আটক করেছে। বাংলাদেশে কত লোককে পুশব্যাক করেছে, সেই তথ্য এখনও নেই। সব জেলার লোককে আটক করছে। আমরাও ছাড়ব না'। সেই সঙ্গে মমতার হুঁশিয়ারি,'আমি ঠিক করেছি বাংলায় বেশি করে কথা বলব। ক্ষমতা হলে আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখুন'।
মমতা বলেন,'লুকিয়ে লুকিয়ে নির্দেশিকা এনেছে ভারত সরকার। আমরা চ্যালেঞ্জ করব। নিজেদের রাজ্যগুলিতে পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলা ভাষায় কথা বললবে যাকেই সন্দেহ হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবেন। কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও! মমতা যোগ করেন, 'বাঙালিদের উপর অত্যাচার করতে দেব না। আপনারা কী ভেবেছেন, দেশের জমিদারি নিয়ে নিয়েছেন। যাকে মর্জি জেলে পাঠিয়ে দেবেন। মর্জিমতো বাংলা ভাষা বললেই বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বলে দিচ্ছেন'!
বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করেন বলেও জানান মমতা। তাঁর কথায়,'আধার কার্ড এবং আইডি কার্ড থাকা সত্ত্বেও আটক করা হচ্ছে বাঙালিদের। দক্ষতা আছে, তাই তাঁদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ সোনার কাজ করেন, কেউ নির্মাণের কাজ করেন। বিজেপি গরিববিরোধী। বাংলায় থাকলে তাঁরা ভালো থাকবেন। তাঁদের দিয়ে কাজ করাবে আর বাংলায় কথা বললেই ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাবে! বাংলা কি ভারতের অংশ নয়?'
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়েও বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি বলছেন! সীমান্ত কার হাতে? বিএসএফের হাতে। ট্রেন, প্লেনে কেউ এলেও সেটা দেখে কেন্দ্রীয় সরকার। আপনারা কেন মিথ্যা কথা বলছেন? বাঙালিদের উপর অত্যাচার কেন? কেউ কাজ করলে হঠাৎ গ্রেফতার করে নিচ্ছেন। নথি দেখালেও আপনারা জেলে পুরে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বোঝা উচিত দেড় কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক আছে এখানে। আপনাদের ওখানে ২২ লাখ আছে। এভাবে দেশ চলবে!'