প্রবল বৃষ্টিতে যখন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মিছিল কলকাতায়, যখন এই বিপর্যয়ের দায় ক্যালকাটা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (CESC) র উপর চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে কলকাতায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি সূত্রে খবর, সংখ্যাটা ৯ জন। এহেন পরিস্থিতিতে CESC কে রীতিমতো তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'ওদের বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে। অনেকবার বলেছি। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছি।' প্রসঙ্গত, শহরের একটি বড় অংশে বিদ্যুত্ নেই।
CESC র উপর দায় চাপালেন মমতা
'নিউজ ১৮ বাংলা' ও 'এবিপি আনন্দ'কে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মৃত্যুগুলির দায় CESC কে নিতেই হবে। তাঁর কথায়, 'এখানে ব্যবসা করছে। আর মর্ডানাইজেশনের কাজ করছে রাজস্থানে। আর এখানে আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।' এরপরেই মৃতদের পরিবারকে একজন সদস্যকে CESC তে চাকরি দেওয়ারও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'CESC চাকরি দেবে। না হলে আমরা দেখব।'
আজ থেকেই পুজোর ছুটি ঘোষণা
রাতভর টানা ৫ ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরোপুরি স্তব্ধ কলকাতা ও শহরতলি। শিয়ালদা ও হাওড়ায় ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ। মেট্রো কোনও রকমে আংশিক ভাবে যাচ্ছে। রাস্তায় বাসও ভীষণ কম। ইতিমধ্যেই আজ থেকেই সরকারি স্কুল ও কলেজে পুজোর ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন। ICSE ও CBSC বোর্ডের স্কুলগুলিকেও মমতা অনুরোধ জানিয়েছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে প্রাইভেট সংস্থার অফিসগুলিকে মমতার আর্জি, 'আজ কারও বেরোনোর প্রয়োজন নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ, দয়া করে আজ আপনারা কারও ছুটি কাটবেন না।'
তাহলে জল নামবে কখন?
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আশ্বাস, জল নেমে যাবে রাত ১০টার মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের সকলে রাস্তায় থাকবেন। মমতার বক্তব্য, 'জলটা বার করবে কোথায়? সব তো ডুবে আছে।' উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, হিমাচপ্রদেশের উদাহরণ টেনে ফিরহাদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এইরকম হচ্ছে। বস্তুত, আজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।