বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা বলা সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ছাড়ছেন না অনেকে। বিপজ্জনক বাড়ি সত্ত্বেও মালিক, ভাড়াটিয়ারা কথা শুনছেন না, আর তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে বৃহস্পতিবার বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'এসব বলার জন্য যদি ভোট না দেন, তো না দেবেন, ভোটের জন্য বলছি না, জীবনের জন্য বলছি।' পাশাপাশি, মমতা বলেছেন, 'কেউ কেউ ব্যবসায়িক স্বার্থে আগুন লাগান, জীবন বিপন্ন করে আগুন নিয়ে খেলবেন না।'
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
দিঘা থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে যান মমতা। সঙ্গে ছিলেন দমকলমন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর সারা রাত তদারকি করেছি। এই হোটেলটা ১৯৮৯ সাল থেকে চলছে, বহু পুরনো। কয়েক দিনের জন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে সংস্কার করা হোক।' বড়বাজার, জোড়াসাঁকো এলাকায় অনেক বাড়িরই বিপজ্জনক অবস্থা বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনেক বহুতলেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বলে এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'সিঁড়ি থেকে কেউ নামতে পারেনি। ২ জনে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে আটকে মারা গেছেন। ৯০ জনকে বাঁচিয়েছি। হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত পুরসভা আলাদা করে করবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। হোটেলের মধ্যে দোকান করা যাবে না এবং প্লাস্টিক, রাসায়নিক মজুত করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত পুরসভা আলাদা করে করবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সিস্টেম না মেনে অনেক হোটেল চলছে। পুলিশ, দমকল, পুরসভাকে বলব সারপ্রাইজ ভিজিট করতে। জেলাতেও সারপ্রাইজ ভিজিট করতে বলব।' কোনও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মদত দিলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেউ কেউ ব্যবসায়িক স্বার্থে আগুন লাগান, জীবন বিপন্ন করে আগুন নিয়ে খেলবেন না আগুন জ্বালানো সহজ, নেভানো খুব মুশকিল।নিজেদের বাঁচান, অপরকেও বাঁচতে দিন। আপৎকালীন ব্যবস্থা যারা রাখেন না। তাঁরা ক্ষমার অযোগ্য। কোথাও কোথাও আমি ভীষণ টাফ।কথা না শুনলে পুরসভা, দমকল ব্যবস্থা নেবে।'