Advertisement

Mamata Banerjee: 'সিএজি রিপোর্ট টোটাল মিথ্যা, তখন তৃণমূলের বয়স ৪-৫ বছর', মোদীকে 'কড়া চিঠি' মমতার

বকেয়ার দাবিতে ধর্মতলায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় মমতা ক্যাগের বেনিয়ম রিপোর্ট নিয়ে জবাব দেন। নেত্রী বলেন,'ক্যাগ যে কথাটা জানে না সেটাই লিখেছে। বলছে, ২০০৩ সাল থেকে বেনিয়ম হয়েছে। ২০০৩ সালের দায়িত্ব আমি নেব কেন? ২০১১ সালের দায়িত্ব নেব'।

Mamata Banerjee And Narendra Modi
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 02 Feb 2024,
  • अपडेटेड 6:27 PM IST
  • সিএজি রিপোর্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা, দাবি মমতার।
  • মোদীকে কড়া চিঠি মমতার।

কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খরচ করেছিল রাজ্য। কিন্তু তার কোনও শংসাপত্র দেখাতে পারেনি। গরমিলের পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। ক্যাগের এই রিপোর্ট 'সম্পূর্ণ মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বকেয়ার দাবিতে ধর্মতলায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় মমতা ক্যাগের বেনিয়ম রিপোর্ট নিয়ে জবাব দেন। নেত্রী বলেন,'ক্যাগ যে কথাটা জানে না সেটাই লিখেছে। বলছে, ২০০৩ সাল থেকে বেনিয়ম হয়েছে। ২০০৩ সালের দায়িত্ব আমি নেব কেন? ২০১১ সালের দায়িত্ব নেব। টোটাল মিথ্যা কথা। সব শংসাপত্র গিয়েছে। আমরা চিঠিতে পাই পাই পয়সার হিসেব দিয়েছি আমরা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি 'কড়া চিঠি' দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,'চিঠিটা পড়ে নেবেন। প্রতিটি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সময়মতো দেখে নিন। ক্যাগ রিপোর্ট পুরো মিথ্যা। এটা লিখেছে বিজেপি পার্টি। আমি লিখিত চিঠি দিয়েছি।'

সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বকেয়া মেটানোর কথা বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাবে মোদী বলেছিলেন,'সিএজি রিপোর্টটি আমি পড়ছি। আপনারাও দেখুন।' এ দিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকেই নিশানা করেছেন মমতা। তিনি বলেন,'ওরা বলছে, ক্যাগ রিপোর্ট দেখে নিন। কী দেখব? পুরো মিথ্যা বলেছে। ক্যাগের কাছে কী লিখব, কী লিখব না, তার কোনও তথ্যই ছিল না। বিকৃত তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিজেপি পার্টি অফিসই লিখেছে এই রিপোর্ট।'

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা 'কড়া চিঠি'র কয়েকটি লাইন পড়েও শোনান মমতা। বলেন, 'রাজ্য সরকারের ২০২১ আর্থিক অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের শংসাপত্র যথাসময়েই দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার শংসাপত্র রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতর সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে জমা দিয়েছে। যেভাবে চাওয়া হয়েছিল সেভাবেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তারা সন্তোষপ্রকাশ করেছিল। সময়ে সময়ে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে'।  

Advertisement

২০০৩ সালের বেনিয়মের দায় তার নয় বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন,'সব প্রতিষ্ঠান, এজেন্সিকে পার্টি অফিস করে দিয়েছে। আপনি বুঝুন ২০০৩ সালের হিসেব চাইছে। তখন তৃণমূলের ৪-৫ বছর বয়স ছিল। অভিষেককে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এজেন্সি, তখন অভিষেক জন্মায়নি। ওদের মতো বাজে ভাষা বলি না। চারিদিকে বলে বেড়াচ্ছে, সব তৃণমূল চোর। আপনারা কী? তদন্ত হলে বোঝা যাবে, আপনার সরকারের সব দফতর ৩০ শতাংশ কমিশন নেয়। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক গিয়ে দেখে নিন।'

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement