কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়েছিল তৃণমূল। আর আজ সেই তৃণমূলের দাপটেই কংগ্রেস এরাজ্যে অনেকটাই ম্রিয়মান। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও সেই চিত্র। ছাত্র পরিষদের জন্মদিন পালন নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিনের। কোন মঞ্চে ভিড় বেশি, কোন মঞ্চে কোন নেতা। তবে সেসবই এখন অতীত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিশাল আয়োজনের সঙ্গে মহাজাতি সদনের পাশের অনুষ্ঠানের কোনও তুলনাই হয় না। এদিন দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে আরজি কর নিয়ে বিজেপি ও সিবিআইক নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রীকেই নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
এদিন টিএমসিপির ম়ঞ্চ থেকে তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী। অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেসের শহিদ দিবস ও ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস লুট করে নিয়েছে তৃণমূল। এভাবে তৃণমূল অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আরজি করের নৃংশসতা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে প্রতিবাদ চলছে। ছাত্র আন্দোলন নিয়ে প্রশাসন যেভাবে কলকাতায় ব্যারিকেড দিল তা প্যালেস্তাইনে দেখা যায়। দিদি চান, একদিকে তৃণমূল আর একদিক বিজেপি, এভাবে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। এদিনের বনধ নিয়ে অধীর লেন, মমতা চান বনধ হোক, আরজি করে নিয়ে দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না, ছাত্র সমাজের মিছিল থেকে তা পেলেন। এবার বিচার চাই সিবিআই বলে পাল্টা প্রতিবাদে নামছেন। এতে কার লাভ হল? কাল থেকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পথে নামবে তৃণমূল। এটা আসলে আন্দোলনকে প্রতিবাদের রাস্তার থেকে সরিয়ে দেওয়ার রাজনীতি।
ধর্ষণ করলে ফাঁসি, বিধানসভায় বিল আনার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অধীর। কংগ্রেস নেতা বলেন, একদিকে তদন্ত চাইছেন মমতা, অন্যদিকে প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছে। মমতার আমলে ঘটা কামদুনি, মধ্যমগ্রাম, মুর্শিদাবাদেন নির্যাতিতারা এখনও বিচার পাননি। ডাক্তারদের ভয় দেখান হচ্ছে। নির্যাতিতার মাকে ম্যানেজ করতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিয়েছিলেন।