প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। নানা বিষয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও স্পষ্ট করে দিলেন, নতুন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন।
ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে বৃহস্পতিবার রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ছিলেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'রাজ্যপালকে মেরি ক্রিসমাস ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। এটা আমাদের রীতি।' তার পরই সি ভি আনন্দ বোসের প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,'আমাদের রাজ্যপাল অত্যন্ত ভদ্রলোক। তিনি খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এতই ভাল আমার মনে হয় আর কোনও সমস্যা (প্রবলেম) হবে না। আমাদের সমস্যা হলে খোলাখুলি আলোচনা করতেই পারি। আলোচনা করে সব সমাধান হয়ে যাবে। উনি রাজ্য সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।'
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিবাদ পৌঁছেছিল তুঙ্গে। নানা বিষয়ে মতানৈক্য তো রয়েইছে। খোলাখুলি রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হতেন জগদীপ ধনখড়। ভোট পরবর্তী হিংসা হোক বা বহরমপুরে দম্পতি হত্যা- টুইট তাঁকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলেও গিয়েছিলেন। এছাড়াও একাধিক বিলে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। এর মধ্যে রয়েছে বালি পুরসভার বিলও। সেই সব বিল কি এবার পাস হয়ে যাবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে মমতা বলেন, 'এনিয়ে কোনও কথা হয়নি। সব ব্যাপারই সমাধান হবে।'
দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সি ভি আনন্দবোস জানিয়েছিলেন, সংবিধান মেনেই কাজ করবেন। সবক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। তাঁর সঙ্গে বাংলার যোগের কথাও তুলে ধরেছিলেন। মমতা এ দিনের মন্তব্য থেকে অনেকেই মনে করছেন, সম্ভবত জগদীপ ধনখড় যে পথে হেঁটেছিলেন সেদিকে যাবেন না সি ভি আনন্দ বোস। সরকারের প্রতি সহযোগিতার হাতই বাড়িয়ে দেবেন তিনি। দীর্ঘদিন প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। ফলে দুঁদে আইনজীবী ধনখড়ের মতো সোচ্চার তিনি হবেন না।
আরও পড়ুন- TMC তো পাশে নেই? পার্থর জবাব,'আমি দলের সঙ্গে আছি, আস্থা রাখুন'.