
এবার কলকাতায় সারা বছর দুর্গাপুজোর আবহ অনুভব করতে পারবেন বাংলার মানুষ। কারণ নিউটাউনে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে দুর্গাঙ্গন তৈরির কাজ। আগামীকাল সোমবারই দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাঙ্গন তৈরির কাজ।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে প্রথম এই দুর্গাঙ্গন তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, জগন্নাথধামের মতো একটি স্থায়ী দুর্গাঙ্গন তৈরি হবে ৷ যেখানে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশের মানুষ দুর্গাপুজোর আবহ অনুভব করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের দাবি, এই কেন্দ্র দেশ-বিদেশের পর্যটক টানবে এবং দুর্গাপুজোকে ঘিরে রাজ্যের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পকে নতুন গতি দেবে।
সূত্রের খবর, নিউটাউনে মোট ১২.৬ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে এই দুর্গাঙ্গন। এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক প্রায় ২৬২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে অ্যাকশন এরিয়া-১ এ হতে পারে এই প্রজেক্টের কাজ।
বিশেষ বিষয় হল, সব ঠিক থাকলে দুর্গাঙ্গন তৈরির কাজ শেষ হতে পারে ২০২৭ সালের মধ্যে। এর জন্য ২৪ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২ বছরের মধ্যে হিডকো এই কাজ সারবে। উল্লেখ্য, বছর তিন আগে বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে। এটিও তৈরি করেছিল হিডকোই। কয়েকমাসের মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে সেই মন্দির। যার ফলে আয় বেড়েছে রাজ্য সরকার। সেই একই ধাঁচে এবার দুর্গাঙ্গন থেকেও আয় বাড়বে রাজ্য সরকারের।