নাম মুখে নিলেন না। তবে তাঁর নিশানায় যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তা আরও কারও বুঝতে বাকি নেই। 'বসন্তের কোকিল' বলে সনিয়া-তনয়কে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, লোকসভা কংগ্রেসের ভরাডুবিরও যেন আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন নেত্রী। তিনি বলেন,'বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে শুধু তৃণমূল। কংগ্রেস একা পারবে না। ৪০টা আসন পাবে কিনা আমরা জানি না!'
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মাঝে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। তাঁদের সঙ্গে বিড়িও বাধেন। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় ছোট ছোট কচিকাঁচাদের সঙ্গেও দেখা গিয়েছিল রাহুলকে। এ দিন নাম না করে মমতা বলেন,'এখন নির্বাচন এসেছে তাই বসন্তের কোকিলরা ফটোশ্যুট করছে। এরা কোনওদিন চায়ের দোকানে বসেনি, চা বানাতে জানে না, বাচ্চাদের আদর করেইনি, শিশু বলতে কী বোঝেই না! বিড়ি বাঁধতে জানেই না কোনওদিন, বিড়ির বদলে অন্য কিছু হয়তো খায়। খেতেই পারে, আমাদের গ্রামের লোকেরা অনেকে বিড়ি খায়। এটা নিয়ে আমি বলছি না। বাবাহ! বসন্তের কোকিলরা চলে এসেছে।'
ভারত ন্যায় যাত্রা সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করা হয়নি বলেও জানান মমতা। সেই সঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে চাইছে বলেও দাবি করেন। তৃণমূল নেত্রী বলেন,'কংগ্রেসকে বলেছিলাম ৩০০ আসনে লড়াই করো। আমরা ২৪৩টা আসনে লড়ব। হল না! প্রথমে চলে এল বাংলায়। ভাবল মুসলিমদের ভোট নিই। কংগ্রেস-সিপিএম মুসলিমদের সুড়সুড়ি দিচ্ছে। আমরা সব বাদ। এটা হতে পারে না? বাংলা পারে। তৃণমূল কংগ্রেস পারে। কংগ্রেস পারবে না। ২টো সিট ছাড়ব। তার পর থেকে আর কোনও কথা বলেনি।'
মমতা আরও বলেন,'আমি তাও তোমাদের বলেছিলাম, দুটো আসন দেব। তোমাদের জিতিয়েও দেব। বলল হবে না। আমি বললাম কটা চাই, ৪২টা? তার পর থেকে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, কথাও হয়নি। বাংলায় কর্মসূচিতে এসেছে। আমরা নাকি ইন্ডিয়া জোট? একবারও খবর দেয়নি, অমুক দিন থেকে যাচ্ছি বাংলায়। আমাকে তো কেউ বলেনি। আমি প্রশাসন সূত্রে জেনেছি। ডেরেককে ফোন করে বলেছে, আমাদের গাড়িটা পাশ করিয়ে দাও।'
বাংলায় রাহুলের কর্মসূচি নিয়েও নিজের অসন্তোষ গোপন করেননি মমতা। তাঁর কথায়,'আজ তোমাদের এত অহংকার! আমাকে একবারের জন্যও জানায়নি। বুকের পাটা থাকলে উত্তরপ্রদেশের বেনারসে গিয়ে বিজেপিকে হারিয়ে এসো... রাজস্থানে গিয়ে হারিয়ে এসো... মধ্যপ্রদেশে গিয়ে হারিয়ে এসো।'