Advertisement

Kolkata law college: এখনও দেওয়ালে সেই মনোজিতের গুণগান, 'পুজোর ছুটিতে মুছে দেওয়া হবে', বললেন TMC বিধায়ক

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ থেকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না নয়না চট্টোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন অধ্যক্ষ না আসা পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব সামলাতে হবে।

সাউথ কলকাতা ল কলেজের দেওয়াল ও মনোজিৎ।-কোলাজসাউথ কলকাতা ল কলেজের দেওয়াল ও মনোজিৎ।-কোলাজ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 18 Sep 2025,
  • अपडेटेड 4:17 PM IST
  • সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ থেকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না নয়না চট্টোপাধ্যায়কে।
  • বৃহস্পতিবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন অধ্যক্ষ না আসা পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব সামলাতে হবে।

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ থেকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না নয়না চট্টোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নতুন অধ্যক্ষ না আসা পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব সামলাতে হবে।

গত মঙ্গলবার পরিচালন সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন নয়না। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে নয়না সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি যদি সরে দাঁড়াই, তবে কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই আমাকে আপাতত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।'

অশোক দেব জানান, শারীরিক ও মানসিক চাপে নয়না পদত্যাগ করতে চাইলেও কলেজকে কেন্দ্র করে মামলা থাকায় তাঁকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি বৈঠকে ফের উঠে আসে কলেজ ক্যাম্পাসের দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, গত জুনে ক্যাম্পাসের ভিতর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মূল অভিযুক্ত ছিলেন কলেজের প্রাক্তনী, তৃণমূল ছাত্রনেতা এবং অস্থায়ী কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগত হিসাবে দাদাগিরির অভিযোগও ছিল। কলেজ চত্বরের দেওয়ালে এখনও পর্যন্ত তাঁর নামে স্লোগান রয়ে গেছে। কেন এতদিন পরও সেগুলি মুছে ফেলা হল না, সেই প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি অশোক দেব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'পুজোর ছুটিতে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। তখন সব কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।'

ধর্ষণ মামলায় ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল উপাধ্যক্ষ নয়নার বিরুদ্ধে। এমনকি ঘটনার দিন রেজিস্টার খাতায় তাঁর স্বাক্ষর নিয়েও বিতর্ক ছড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গত ১০ সেপ্টেম্বর কলেজে নথিপত্র পরীক্ষা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানিয়েছেন, রিপোর্ট দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

এর মধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে নয়না চট্টোপাধ্যায় বারবারই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'আমি সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি। বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কলেজ পরিচালনা করতে গিয়ে প্রচুর বাধার মুখে পড়েছি। মানসিক চাপও কম নয়। আমি চাই কলেজ সুস্থ পরিবেশে এগিয়ে যাক।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement