Advertisement

উপার্জন তলানিতে! ঝাঁপ ফেলল শহরের একাধিক সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমাহল

নিউ নর্মালেও দর্শক প্রায় নেই বললেই চলে! উপার্জন তলানিতে! শেষমেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য হলের ঝাঁপ বন্ধ করে দিলেন কলকাতার একাধিক নামী সিঙ্গল-স্ক্রিন হলের মালিকরা। এই তালিকায় রয়েছে জয়া, প্রিয়া, প্রাচী, মেনকা, অশোকার মতো একাধিক সিনেমা হল।

ঝাঁপ ফেলল শহরের একাধিক সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমাহল!
সুদীপ দে
  • কলকাতা,
  • 21 Nov 2020,
  • अपडेटेड 9:31 PM IST
  • নিউ নর্মালেও দর্শক প্রায় নেই বললেই চলে!
  • সুরক্ষা-বিধি মেনে সিনেমা হল চালু রাখার খরচ জোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল সিনেমা হলের মালিকদের।
  • শেষমেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য হলের ঝাঁপ বন্ধ করে দিলেন কলকাতার একাধিক নামী সিঙ্গল-স্ক্রিন হলের মালিকরা।

নিউ নর্মালেও দর্শক প্রায় নেই বললেই চলে! দীর্ঘ লকডাউনের পর্ব পেরিয়ে গত অক্টোবরের মাঝামাঝি ফের বাংলায় খুলেছিল মাল্টিপ্লেক্স, সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমা হলগুলি। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে নানা সুরক্ষা-বিধি মেনে সিনেমা হল চালু রাখার খরচ জোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল সিনেমা হলের মালিকদের। কিন্তু শেষমেশ আর যুঝে উঠতে না মেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য হলের ঝাঁপ বন্ধ করে দিলেন কলকাতার একাধিক নামী সিঙ্গল-স্ক্রিন হলের মালিকরা। এই তালিকায় রয়েছে জয়া, প্রিয়া, প্রাচী, মেনকা, অশোকার মতো একাধিক সিনেমা হল।

করোনা মহামারির জেরে এমনিতেই সিনেমা কমই মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়। অনেক ছবিই এখন বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে। ফলে মার খাচ্ছিল সিনেমা হলগুলি। নিউ নর্মালেও নানা সুরক্ষা-বিধি মানার পরও প্রতি শো-এ ২৫-৩০ জনের বেশি দর্শক পাচ্ছিলেন না হল মালিকরা। ফলে চালু রাখার খরচ জোগানোটাই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। তার উপর রয়েছে বিদ্যুতের মাশুল! সামান্য ক’টা টিকিট বিক্রি করে যে খরচ সামলানো কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। অগত্যা, বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝাঁপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের সিঙ্গল-স্ক্রিনের মালিকরা।

বলিউডে টাইটেল চুরি! করণের বিরুদ্ধে অভিযোগ মধুর ভান্ডারকরের

কবে ফের চালু হতে পারে এই হলগুলি? এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে জানা নেই সিঙ্গল-স্ক্রিনের মালিকদেরও। যত দিন না, বড় বাজেটের কোনও হিন্দি ছবি বা একাধিক বড় বাজেটের ছবি জাতীয় স্তরে মুক্তি পাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার তেমন কোনও আশা দেখছেন না হল মালিকরা।

EXCLUSIVE: ৭ বছর পর বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবি, কী বলছেন পরিচালক

নিউ নর্মালে, পুটোর সময়টায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি আশা করেছিলেন শহরের সিঙ্গল-স্ক্রিনের মালিকরা। সে সময় সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলি প্রথম সপ্তাহে মোটামুটি চললেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ফের হাতে-গোনা দর্শক আর ক্ষতির বোঝা বাড়তে থাকে। কিন্তু নভেম্বর থেকে মূলত কনটেন্ট বা ছবির অভাবেই শো-এর সংখ্যা চার থেকে দুয়ে নেমে আসে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি যে-কে সেই! শহরের সিঙ্গল-স্ক্রিনের মালিকদের মতে, মহারাষ্ট্রে যতদিন না সিনেমা হলগুলি চালু হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া প্রায় অসম্ভব! সব মিলিয়ে শহরের একাধিক সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমা হলের ভবিষ্যত এখন অথৈ জলে!
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement