ভরদুুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল একটি মিনিবাস। কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে হাওড়ার বাঁকড়া যাচ্ছিল সেটি। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার সময় বাসটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর উল্টে যায়। আহত বহু যাত্রী।
পুলিশের অনুমান, বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ জন যাত্রী আহত। এর মধ্যে রয়েছে দুই শিশু-সহ ৫ মহিলা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে এসএসকেএম এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ৪জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁদের মাথার সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকজনের পা একেবারে পিষে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। গুরুতর আহত বাসের চালক। সেটি বিয়ে বাড়ির জন্য ভাড়া করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে ক্রেন দিয়ে বাসটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৈধ নথি ছাড়াই বাসটি রাস্তায় চলছিল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডব্লিউবি-১১বি ৩০৪৮ মিনিবাসটির বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক বার সিগন্যাল ভাঙার অভিযোগও। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বছর চারেক আগে। দূষণ এবং বিমা নথিও মেয়াদোত্তীর্ণ। শুধু তাই নয় বাস মালিকের মৃত্যুর পরে মালিকানা বদল সংক্রান্ত নথি হস্তান্তর না হওয়ায় সেটিকে ইতিমধ্যেই কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ কার্যালয়। তা সত্ত্বেও চার বছর ধরে শহরের রাস্তায় কীভাবে ছুটছিল সেটি? উঠছে প্রশ্ন।
বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ দুর্ঘটনার সময় একটি ভিডিয়ো টুইট করেছেন। তাতে স্পষ্ট হয়েছে কীভাবে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারায় মিনিবাসটি।
ঘটনার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, এই ধরনের বাসগুলিতে দ্রুত সনাক্ত করা হবে।