
ফের দক্ষিণ কলকাতায় রক্তারক্তি কাণ্ড। এবার গাঙ্গুলিবাগানের মতো জনবহুল এলাকায় এক ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে পালাল দুষ্কতী। জখম ব্যক্তিকে বাঘাযতীনের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গাঙ্গুলিবাগান এলাকার রামগড়। সোমবার সকালে নিজের স্টুডিওর সামনে বসেছিলেন সেই ব্যক্তি। সেই সময় বাইকে করে কেউ বা কারা এসে ওই ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এলাকার লোকজনর নজরে পড়ে গোটা ঘটনা। তাঁরা জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই রকম জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কীভাবে একজনের উপর হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? সেই প্রশ্নও তুলছেন স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাটুলি থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির উপর কে বা কারা হামলা চালাল তা এখনও পরিষ্কার নয়। কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেটারও তদন্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গাঙ্গুলিবাগানের ওই ব্যক্তি পেশায় একজন মৃৎশিল্পী। তাঁর সঙ্গে কারখানার কারিগরদের ঝামেলা চলছিল টাকা পয়সা নিয়ে। সেই কারণেই হামলা কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার কলকাতার কসবার এক হোটেলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর নাম আদর্শ। খুনের অভিযোগে ধ্রুব মিত্র নামে এক যুবক এবং কমল সাহা নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে যুবককে খুন করা হয়েছে। রবিবার কসবা এলাকা থেকেই ধরা পড়ে কমল সাহা এবং ধ্রুব মিত্র।