'শোনো আমি কোনও পার্টিতে আর নেই', এভাবেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেন। সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মুনমুন। সেখানে তাঁকে রাজনৈতিক দল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই মুনমুন জবাব দেন,'শোনো আমি কোনও পার্টিতে আর নেই'। অর্থাৎ যে আর সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নেই সে কথা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন মুনমুন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বাঁকুড়ার সাংসদ হন মুনমুন সেন। পরেরবার কেন্দ্র বদল হয় তাঁর। আর কেন্দ্র বদল হতেই পরাজয়ের মুখ দেখেন বাংলার এই অভিনেত্রী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আসনাসোল কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুনমুন। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় কাছে পরাজিত হয় তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দলবদল নিয়েও বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। উঠেছিল BJP-তে যোগদানের জল্পনা।
২০১৯ সালে বাঁকুড়া পরিবর্তে আসানসোলের প্রার্থী করায়, আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মুনমুন সেন (Moon Moon Sen)। সেই সময় মুনমুন বলেছিলেন, আসানসোলে না জিতেও যখন তৃণমূল সেখানে ভাল কাজ করেছে, তখন মানুষ তাঁকেই জেতাবে। এ ব্যাপারে ৭০ শতাংশ আশাবাদী ছিলেন তিনি। মুনমুনের প্রতিপক্ষ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৎকালীণ বিজেপি নেতা বাবুল সম্পর্কেও মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'বাবুল সুইট ছেলে'। এছাড়াও আসানসোলের ভোটের প্রচারে মুনমুন সেনের পোস্টারে অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের ছবি ব্যবহার করা নিয়েও একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবিরও।
রাজনীতির ময়দানে দীর্ঘদিন তাঁকে প্রত্যক্ষভাবে দেখা না গেলেও, ত্রিপুরা নির্বাচনের সময় চর্চায় ছিলেন মুনমুন সেন। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা BJP-র হয়ে লড়াই করেন। ১৯৭৮ সালে মুনমুন সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য ভরত দেববর্মার। ফলে পারিবারিক সূত্রে যিষ্ণু দেববর্মার বৌদি মুনমুন সেন। মুনমুন ও ত্রিপুরার রাজ পরিবারের এই যোগসূত্র ঘিরে নির্বাচনের সময় বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে যথেষ্টই কাটাছেড়া হয়। নির্বাচনী প্রচারে বৌদি মুনমুনকে যিষ্ণ দেববর্মা সঙ্গে পাবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলতে থকে। সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে দেওয়া নির্বাচনী প্রচারের তালিকাতেও ছিল মুনমুন সেনের নাম। যদিও এবার অবশ্য মুনমুন সরাসরিই জানিয়ে দিলেনে যে তিনি কোনও দলে নেই।