Advertisement

Moral policing: চায়ের দোকানে গান-মেয়েদের হাতে সিগারেট কেন? দমদমে নীতি পুলিশদের তাণ্ডব-ভাঙচুর

ফের নীতিপুলিশির অভিযোগ উঠল শহরে। এবার দমদমের নাগেরবাজারে। জানা গেছে, কয়েকজন মহিলা একটি চায়ের দোকানে বসে গান গাইছিলেন। অভিযোগ, সিগারেটেও টান দিচ্ছিলেন তাঁরা। এই অপরাধে তাঁদের ওপর হামলাও অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। মূলত মহিলাদের ধূমপান ও চায়ের দোকানে বসে আড্ডা-গানে আপত্তি ওই ক্লাবের সভ্যদের। যার জেরে ওই চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালান তারা। 

ফের শহরে নীতি পুলিশির অভিযোগ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 13 Jan 2023,
  • अपडेटेड 3:53 PM IST
  • ফের নীতিপুলিশির অভিযোগ উঠল শহরে। এবার দমদমের নাগেরবাজারে।
  • জানা গেছে, কয়েকজন মহিলা একটি চায়ের দোকানে বসে গান গাইছিলেন।

ফের নীতিপুলিশির অভিযোগ উঠল শহরে। এবার দমদমের নাগেরবাজারে। জানা গেছে, কয়েকজন মহিলা একটি চায়ের দোকানে বসে গান গাইছিলেন। অভিযোগ, সিগারেটেও টান দিচ্ছিলেন তাঁরা। এই অপরাধে তাঁদের ওপর হামলাও অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে। মূলত মহিলাদের ধূমপান ও চায়ের দোকানে বসে আড্ডা-গানে আপত্তি ওই ক্লাবের সভ্যদের। যার জেরে ওই চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালান তারা। 

চায়ের দোকানের মালিকের দাবি, চায়ের দোকানের সামনে গান গাইছিলেন কয়েকজন যুবক-যুবতী। তাঁরা কেউ কেউ ধূমপান করছিলেন বলেও দাবি। এলাকার এক ক্লাবের লোকজন তাতে আপত্তি তোলেন। তাঁদের মনে হয়, দোকানে যুবক - যুবতীরা অশালীন আচরণ করছেন।  এই অভিযোগ তুলে চড়াও হন দাগা কলোনির ওই ক্লাবের সদস্যরা।

তবে ওই যুবক-যুবতীরাও পাল্টা  প্রতিবাদ করেন। এরপরই আঁতে ঘা লাগে ক্লাবের লোকজনের। তাই দোকান মালিককে মারধর ও তাঁর দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে নাগেরবাজারের কামারডাঙা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ ঠিক কী, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা।

জানা গেছে, ওই চায়ের দোকানে বহু যুবক-যুবতীই চা খেতে ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গান-বাজনা করেন। মহিলারা কেন চায়ের দোকানে আড্ডা দেবেন, কেন সিগারেট খাবেন, এনিয়ে আপত্তি ছিল স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের একাংশের। তাদের অনেকের কাছেই বিষয়টি অশালীন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টিতে তাঁরা দোকানদারকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না এলাকার অন্য দোকানদাররা। তাঁদের মতে, সামান্য বিষয়ে দোকান ভাঙচুর করা ঠিক হয়নি। 


গতবছরই এরকমই একটি ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। হ্যাফপ্যান্ট পরে থানায় ঢুকলে তাঁর অভিযোগ নেওয়া তো দুরের কথা, ঢুকতেই দেওয়া হয়নি তাঁকে। বিষয়টিতে ফেসবুকে সরব হয়েছিলেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা  অভিষেক দে বিশ্বাস এবং তাঁর সহকর্মী বর্ণিক দত্ত।

Advertisement

কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা বর্ণিক দত্ত একটি চুরির অভিযোগ জানাতে নাগাদ কসবা থানায় গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পরনে ছিল থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। অভিষেকের অভিযোগ, তিনি থানায় গেলে তাঁর অভিযোগ না শুনেই, থানা থেকে বলা হয় হাফ প্যান্ট পরে নয়, অভিযোগ জানাতে গেলে কথা না বাড়িয়ে তিনি যেন ফুল প্যান্ট পরে আসেন। এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন তিনি। পোস্টে অভিষেক লেখেন, 'মানুষজন কী পরবেন তা নিয়ে পুলিশের নীতিপুলিশি দেখে অবাক হলাম। ধরা যাক একজন ব্যক্তি ময়দানে ছিনতাইবাজদের হাতে পড়ল এবং কোনও মতে নিজেকে বাঁচিয়ে পুলিশ স্টেশনে দৌঁড়ে গেল। সে ক্ষেত্রে কী তিনি শর্টস পরে থাকলে, থানায় ঢুকতে পারবেন না?'

আরও পড়ুন- ১১ কোটি উদ্ধার হতেই TMC-র জাকিরকে তলব I-T বিভাগের

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement