কলকাতায় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ বাংলাদেশের সাংসদ। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এখনও দেহ উদ্ধার করা হয়নি। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ওপার বাংলার শাসকদল আওয়ামি লিগের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনর।নিউটাউন এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিশ সূত্রে খবর, বরানগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ওই সাংসদের শেষ লোকেশন নিউটাউনে দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকারের তরফে বাংলার পুলিশকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের কাছে এক ব্যক্তি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তবে এখনও সাংসদের দেহ উদ্ধার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে কলকাতায় আসেন ওই সাংসদ। ১৩ মে থেকে তিনি নিখোঁজ। বরানগরে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন ওই সাংসদ। ১৩ মে কোনও একজনের সঙ্গে দেখা করতে বেরোন তিনি। তারপর থেকে আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সাংসদের বন্ধু পুলিশে অভিযোগ জানান। সাংসদের ফোন থেকে পরিবারে মেসেজে জানানো হয় যে, তিনি নয়াদিল্লি গিয়েছেন। কিন্তু সাংসদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন সূত্রে খবর, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
কলকাতায় আগামী ১ জুন লোকসভা ভোট। তার আগে পড়শি দেশের সাংসদের নিখোঁজ হওয়া ঘিরে রহস্য ঘনাল।
অন্য দিকে, চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশ থেকে এক মহিলার আধপোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই দেহটি উদ্ধার করে ময়দান থানার পুলিশ। মহিলার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে স্থানীয়রাই দেহটি দেখতে পান। পরে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়দান থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছিল, দেহটিতে পচন শুরু হয়েছিস। প্রাথমিক অনুমান, ২ দিন আগেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল, সেই কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। খুন না মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেউ মহিলার দেহ ব্রিগেড ময়দানে ফেলে দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।