Advertisement

Mukul Roy: মুকুলকে নিয়ে 'কালের যাত্রা' শুনতে পেলেন কুণাল, VIRAL ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতবহ পোস্ট

সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেই ছবিটি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও? আমি শুনতে পাচ্ছি মুকুলদা। তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মনেপ্রাণে চাই তুমি সচেতন মনে কালের যাত্রার ধ্বনি অনুভব করো। অচেতন থাকলে এ ধ্বনির মানে বুঝবে কী করে?”

মুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল।-কোলাজমুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল।-কোলাজ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 13 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:32 PM IST
  • তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
  • একইসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুকুল রায়কে নিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তও বাতিল করে দিয়েছে আদালত।

তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুকুল রায়কে নিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তও বাতিল করে দিয়েছে আদালত। এর ফলে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনটি এখন শূন্য হয়ে গেল। যদিও রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের এত কাছাকাছি সময়ে ওই আসনে নতুন করে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মুকুল রায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। জানা গিয়েছে, তিনি ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন এবং এখন কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই থাকেন। সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেই ছবিটি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও? আমি শুনতে পাচ্ছি মুকুলদা। তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মনেপ্রাণে চাই তুমি সচেতন মনে কালের যাত্রার ধ্বনি অনুভব করো। অচেতন থাকলে এ ধ্বনির মানে বুঝবে কী করে?”

 

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে মুকুল রায় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দ্রুত উত্থান ঘটে তাঁর। তিনি এক সময় রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন।

বর্তমানে খাতায়কলমে মুকুল রায় না বিজেপির, না তৃণমূলের। রাজনীতির মঞ্চ থেকে অনেক দূরে তিনি এখন শয্যাশায়ী। হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে তাঁর রাজনৈতিক অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক অবসানই ঘটল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement