নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি শহর কলকাতায়। মিছিলে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ আর তার আঘাতে আরজি করের নির্যাতিতার মায়ের শাখা ভাঙার অভিযোগ।
আরজি করের নারকীয় ঘটনার বছর পার হওয়ার পরও মেয়ে ন্যায়বিচার পায়নি, এমনই দাবি করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই মিছিলে দলীয় পতাকা ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যোগ দিয়েছেন BJP বিধায়ক ও নেতারা।
আহত নির্যাতিতার মা-বাবা
মিছিল রুখতে ব্যারিকেডে শহর মুড়ে ফেলেছিল কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ। তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। এর মাঝেই পার্ক স্ট্রিট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার বাবা-মাও সেই লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে বলে দাবি BJP-র।
কী বললেন নির্যাতিতার মা-বাবা?
নির্যাতিতার মা বলেন, 'বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকেই গাড়ির নম্বর সব জায়গায় দিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রীতিমতো চোর পুলিশ খেলে খেলে আমরা কোনওমতে ধর্মতলায় পৌঁছেছিলাম। সেখানে রাস্তায় ফেলে আমাকে চার-পাঁচ জন পুলিশ মেরেছে। আমার শাখা ভেঙে দিয়েছে। মাথা ফুলে গিয়েছে। পিঠে মেরেছে।' তাঁর সংযোজন, 'আমি অনড়। নবান্নে যেতে চাই। কেন মেয়েকে খুন করা হল কাজের জায়গায়? তখন কেন পুলিশ তৎপর ছিল না। পুলিশ আমাদের উপর অত্যাচার করছে। ব্যারিকেড যদি না সরায় ওরা আজ আমি ব্যারিকেডের উপর দিয়েই নবান্নে পৌঁছব।'
নির্যাতিতার বাবাকেও পুলিশ মেরেছে বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ আমাকেও মেরেছে পুলিশ। লাঠিচার্জ করেছে। কোনও আধিকারিক সামনে আসছে না। লুকিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ আটকালেও আমরা নবান্নে যাবই।'
শুভেন্দুর হুংকার
শুভেন্দু অধিকারী সহ BJP নেতা-বিধায়করা পার্ক স্ট্রিট চত্বরে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগান দেন তাঁরা। শুভেন্দুর দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে। ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ১৮ জনকে রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাউকে বাদ দেয়নি ওরা। নির্যাতিতার মা-বাবাও আহত হয়েছেন।' তাঁর আরও বক্তব্য, 'বাবা-মায়ের গায়ে যে হাত তুলেছে সেই মমতা ধ্বংস হবে। এবার জনতা বনাম মমতার লড়াই হবে।' BJP-র অপর নেতা কৌস্তভ বাগচীর দাবি, নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন।