Advertisement

Nabanna Abhijan Suvendu Adhikary: 'মমতা মাশুল দেবেন', নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, বিজেপি MLA-দের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ

নবান্ন অভিযানে উত্তাল কলকাতা, হাওড়া। শনিবার দুপুরে পার্ক স্ট্রিট মোড়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরও দাবি করেন, এদিন নির্যাতিতার বাবা মাও পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী।সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Aug 2025,
  • अपडेटेड 3:23 PM IST
  • নবান্ন অভিযানে উত্তাল কলকাতা, হাওড়া।
  • শনিবার দুপুরে পার্ক স্ট্রিট মোড়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
  • এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

নবান্ন অভিযানে উত্তাল কলকাতা, হাওড়া। শনিবার দুপুরে পার্ক স্ট্রিট মোড়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরও দাবি করেন, এদিন নির্যাতিতার বাবা মাও পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন। এদিন নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি ছিল রানি রাসমণি রোড থেকে। কিন্তু মিছিল এগোতে থাকে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে। পুলিশ বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়। পার্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড মোড়ে বসে পড়েন শুভেন্দু, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলসহ অন্যান্য বিধায়করা। শুভেন্দুর দাবি, 'পুলিশের মারে একশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।'

এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মাশুল দেবেন। এই আন্দোলন আরও বড় হবে।' শনিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী নিহত চিকিৎসকের বাবা, মায়ের সঙ্গে ডোরিনা ক্রসিং থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই বিশাল ভিড়কে ভয় পাচ্ছে।' নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি থাকলেও পুলিশ সহযোগিতা করছে না। পথে পথে গাড়ি আটকে মানুষকে জমায়েতস্থলে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছে।

হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও সংঘর্ষ
এদিন একদল আন্দোলনকারী সাঁতরাগাছিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে লোহার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। কেউ কেউ লাঠি দিয়ে ব্যারিকেড ফাঁক করার চেষ্টাও করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ বারবার লাউডস্পিকারে শান্ত থাকার নির্দেশ দিলেও, বিক্ষোভকারীরা ১০ ফুট উঁচু ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল তেরঙ্গা পতাকা, পোস্টার ও ব্যানার। আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। 

নবান্ন চলো অভিযান
শনিবার ভোর থেকেই কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। সঙ্গে র‍্যাফ ও জলকামানেরও ব্যবস্থা রাখা হয়। পুলিশের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল নবান্নের কাছে যেতে দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে শুক্রবার সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিকল্প আন্দোলন স্থলের প্রস্তাবও দেয় প্রশাসন।

বিক্ষোভকারীদের একাংশ যদিও পুলিশের আর্জিতে কর্ণপাত করেননি। তাঁদের বক্তব্য, 'পুলিশ যাই করুক না কেন, তবুও নবান্নে যাব। এক বছর কেটে গেল, নির্যাতিতার ন্যায়বিচার হয়নি।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement