বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করা নিয়ে দলের লাইনের বিপরীত মেরুতে নদিয়ার চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করা ঠিক হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে উত্তাপের আঁচ পড়ল বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনেও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার অভিযোগ তুলে বিধানসভায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি বিধায়করা। কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে সেখান থেকে ওয়াকআউট করে বাইরেও চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান ও তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে।
যদিও, ওয়াকআউট করা নিয়ে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত দিলেন চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। তাঁর দাবি, ওয়াকআউট করে কোনও লাভ হচ্ছে না। বিধানসভার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়া যাচ্ছে না। বঙ্কিকবাবু বলেন, 'বারবার ওয়াকআউট করে কোনও লাভ হচ্ছে না। বিধানসভায় দুটো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়া গেল না। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলব।'
এদিকে, বঙ্কিম ঘোষের সুর বদলে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। বঙ্কিম ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা। কারণ, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রতিবারই দল বদলের খেলা চলে। কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল।
যদিও বঙ্কিম ঘোষ এনিয়ে bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'আমার মনে হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভার মধ্যে বলতে দিচ্ছে না শাসকদল। আমাদের পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন না স্পিকার। আমরা মানুষের কথা বলতে গিয়েছি বিধানসভায়। সেই কারণেই আমি বলেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত যে ওয়াকআউট করা ঠিক হয়নি। আর আমার বাড়ি চারবার ভেঙেছে তৃণমূল। আমি সেই তৃণমূলে যাব? এসব মিথ্যা অপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।'