নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রইল লাইভ আপডেটস-
তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য
৪ জনের জামিন হওয়ার পর অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আজ সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।' তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ রয়েছে, এখন অহেতুক গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু, সিবিআই সেই নির্দেশিকা মানেনি। রাজ্যপাল গ্রেফতারের অনুমতি দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল এটা করতে পারেন না।
জামিনের আবেদন মঞ্জুর
শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল স্পেশাল সিবিআই আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতের কাছে ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি অনুপম মুখোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মমতার প্রতিক্রিয়া
বিকেল ৫টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান। তখন তিনি বলেন, যা সিদ্ধান নেওয়ার আদালত নেবে।
১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন
সুব্রত, মদন, শোভন, ফিরহাদ- এই চারজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে চাইল সিবিআই। তাদের আবেদন, ওই ৪ জনকে ছেড়ে দিলে তাঁরা প্রভাব খাটাতে পারেন। কারণ, তাঁরা প্রভাবশালী। ৪ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
চার্জশিটে নাম
মোট ৫ জনের নামে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সুব্রত, মদন, শোভন, ফিরহাদ ছাড়াও এই চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা মির্জার।
নিজাম প্যালেসের বাইরে নতুন করে উত্তেজনা
নিজাম প্যালেসের বাইরে ফের নতুন করে অশান্তি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে ছিলেন মমতা।
রাজ্যপালের ট্যুইট আক্রমণ
পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন চুপ কেন? প্রশ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তাঁর ট্যুইটবার্তা, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা চলছে। এটা পরিষ্কার। পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।
৪ জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন সিবিআই-এর
নারদ মামলায় ধৃত ৪ জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালেন সিবিআই-এর আইনজীবী। ৪ জনকে কেন হেফাজতে নিতে চান? আইনজীবীকে এই প্রশ্ন করলেন বিচারপতি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট
করোনা পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আইন শৃঙ্খলা মেনে চলার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ট্যুইটবার্তা, আইন-শৃঙ্খলা ভাঙবেন না। নিয়ম মেনে চলুন। আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে।
এই গ্রেফতার অবৈধ, দাবি স্পিকার বিমানের
৪ জনের গ্রেফতারি অবৈধ। এই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়ে আগে থেকে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। অথচ জানানোই নিয়ম। রাজ্যপালের কাছে গোয়েন্দা সংস্থা কীভাবে অনুমতি নিল সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃতদের শুনানি
ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃতদের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়েছে। ধৃত ৪ জনের আইনজীবীই জামিনের আবেদন জানালেন।
রাজভবনের বাইরে বিক্ষোভ
রাজভবনের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাজভবনের গেটেই বাইরে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর চেষ্টা করছে তারা। রাজ্যপাল গো ব্যাক স্লোগানও শোনা যায় তাদের মুখে।
নিজাম প্যালেসের বাইরে ধুন্ধুমার
নিজাম প্যালেসের বাইরে ধুন্ধুমার, লাঠিচার্জ কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা নিজাম প্য়ালেসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনাকে ঘিরে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভ
জেলায় জেলায় শুরু বিক্ষোভ। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন বহরমপুরে। এছাড়াও মালদা, দুই দিনাজপুর, দুই ২৪ পরগনায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
নিজাম প্যালেসে উত্তেজনা
সিবিআই অফিসে ইঁট মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তুমুল উত্তেজনা। ছোঁড়া হয়েছে জলের বোতলও। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, নারদ মামলায় তো মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর নামও রয়েছে। তাঁদে বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ কেন করছে না সিবিআই। এ ক্ষেত্রে সিবিআই-এর যুক্তি, নারদ কাণ্ডের সময়ে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন সাংসদ, মুকুল রায়ও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। সে ক্ষেত্রে তাঁদের গ্রেফতারের জন্য রাজ্যসভা ও লোকসভার স্পিকারের অনুমতি প্রয়োজন।
আসানসোলে তৃণমূলের বিক্ষোভ
আসানসোল হট্টন রোড মোর এলাকায় তৃনমুলের বিক্ষোভ ۔۔শ্রমিক নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন ۔۔মূলত কারণ ۔ নারোদা কাণ্ডে সি বি আই আটক করেছে ববি হাকিম, মদন মিত্র সহ ৪ জনকে। সেই কারণে এই বিক্ষোভ।
অনুমতি নেয়নি, বললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
নির্বাচিত বিধায়ককে গ্রেফতার করতে হলে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আজকের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই দাবি করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজাম প্যালেসে মমতা
নিজাম প্যালেসে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যারা ওঁদের ধরেছে, তাঁধের জিজ্ঞাসা করুন।
ফিরহাদের বাড়ির সামনে মমতা
ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
সৌগতর তোপ
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ। ভোটে হেরে যাওয়ার পর সিবিআই বিজেপির নির্দেশে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্য়পাল কেন এঁদের চার্জশিটের ব্যাপারে অনুমতি দিলেন, সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। ফিরহাদ তো বলেছেন, আদালতে মোকাবিলা হবে। বাকিটা দল দেখবে।
কল্যাণ পৌঁছলেন নিজাম প্যালেসে
নিজাম প্যালেসে এলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি পেশায় আইনজীবী।
নিজাম প্যালেসে রত্না
নিজাম প্যালেসে গেলেন শোভন-জায়া, তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি জানান, শোভনবাবুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।
আটক ফিরহাদ
কলকাতার চেতলা থেকে ফিরহাদ হাকিমকে আটক করেছে সিবিআই। ফিরহাদের দাবি, নারদা কেসে অ্যারেস্ট করছে। আমরা কোর্টে দেখে নেব। এঁরা সিবিআই। সিবিআই নিয়ে যাচ্ছে নারদা কেসে। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়নি।
সোমবার তাঁর বাড়িতে যায় সিবিআই। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। চেতলার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা। তাঁরা এলাকায় বিক্ষোভ দেখান।
সিবিআইকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আটকে পড়ে গাড়ি। তবে ফিরহাদ তাঁদের আটকান।
এদিকে, নারদকান্ডে অভিযুক্ত তৎকালীন চার বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারবে সিবিআই। এই মর্মে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর মধ্যে তিনজন তৃণমূলের এবং একজন বিজেপির। অনেকের মতে, এই অনুমতি দিয়ে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলে, তিনি রাজ্যের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথেই চলবেন।
কোন চার বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে
যে ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন একুশের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এবং জিতেছেন। ঘটনা হল, তাঁরা মন্ত্রীও হয়ে গিয়েছেন। সোমবার তাঁরা মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তিনি ভোটে দাঁড়াননি। তবে এখন তিনি বিজেপির থেকে দূরে রয়েছেন যেন।
আইনজীবীদের মতে, যেহেতু এখনও বিধানসভার গঠন করা হয়নি। তাই এই ক্ষেত্রে রাজ্যপাল অনুমতি দিতে পারেন। নারদ কাণ্ড ঘটেছিল ২০১৬ সালে।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নারদকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসে। সেখানে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যায়। অভিযোগ, তারা তাঁরা টাকা নিয়েছিলেন। এবং সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়। এঁদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী এবং সাংসদও ছিলেন।
এই স্টিং অপারেশন করেছিলেন সাংবাদিক ম্যাথু স্য়ামুয়েল। তাঁর দাবি তৃণমূলের তৎকালীন সংসদ এই অপারেশনের জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। এদিকে, নারদকান্ডে যাদের নাম জড়িয়েছিল তাঁরা হলেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার।
এছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদের ভাই ইকবাল আহমেদ, শঙ্কুদেব পান্ডা, পুলিশকর্তা এস এম এইচ মির্জা।