Advertisement

Flesh Eating Bacteria: 'মাংসখেকো ভাইরাসে'র হানা কলকাতায়, আরজিকরে মৃত্যু

আরজিকর হাসপাতালে বিরল রোগে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দার। নাম নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ব্যাকটেরিয়ার রোগ। যা মানুষের শরীরের মাংস দ্রুত খেয়ে পচন ধরিয়ে দেয়।

মানুষখেকো ভাইরাসের আক্রমণ। মানুষখেকো ভাইরাসের আক্রমণ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 30 Oct 2022,
  • अपडेटेड 3:09 PM IST
  • আরজিকর হাসপাতালে বিরল রোগে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দার।
  • নাম নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস।

আরজিকর হাসপাতালে বিরল রোগে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,ওই ব্যক্তির শরীরে হানা দিয়েছিল ফ্লেশ ইটিং (Flesh Eating) বা মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)। এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি।

আরজিকর হাসপাতালে বিরল রোগে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দার। নাম নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ব্যাকটেরিয়ার রোগ। যা মানুষের শরীরের মাংস দ্রুত খেয়ে পচন ধরিয়ে দেয়। এই রোগে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। দিন কয়েক আগে ট্রেন থেকে পড়ে বাঁ পায়ে চোট পান ওই ব্যক্তি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাবড়া হাসপাতালে। বাঁ পায়ে ক্ষত বাড়তে শুরু করলে গত ২৩ অক্টোবর আনা হয় আরজিকরে।  পরীক্ষা রিপোর্টে জানা যায়, তিনি বিরল নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াটিস রোগে আক্রান্ত। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক হিমাংশু রায় জানিয়েছেন,লোহার রড ঢুকে যাওয়ায় সংক্রমণ শুরু হয়। রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল। ক্রিয়েটিনিন লেভেলটা বেশি ছিল। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটরে।

তবে একটি মাত্র ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয় না। একাধিক ব্যাকটেরিয়া সংঘবদ্ধ আক্রমণ করে চামড়া ও পেশীর মাঝের স্তরে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত রোগ ধরা গেলে সংক্রমিত অংশ কেটে বাদ দিলে বাঁচানো যায় রোগীকে। 

আরও পড়ুন

এসএসকেএম হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়,'ফাসাইটিস মানে চামড়ার তলায় যে সব টিসু থাকে, তার পচন ধরে যায়। কোনও একটা কারণে হঠাৎ করে মাসল এবং ফাসাইয়ে পচন ধরতে শুরু করে । দুই-তিন ধরনের প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবে অ্যাটম বোমের মতো জায়গাটায় বিস্ফোরণ হয়। লাভার মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু নিশ্চিত।

গত দু'বছর আগে হানা দিয়েছিল করোনা। তার পর গোটা বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাসের হানায় একের পর এক মৃত্যুমিছিল লেগেছিল। দু'বছর ধরে এসেছে করোনার একাধিক প্রজাতি। ব্যাঘাত ঘটেছিল  স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।স্ক্রাব টাইফাস থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো ভাইরাসও বাড়িয়েছিল আতঙ্ক ! 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement