ফের নীতি আয়োগের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের একটি রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে বিহারের মানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গুরুতর ভুল’ এবং ‘অপমান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেনে। যেখানে তিনি নীতি আয়োগের এই ভুলের কথা তুলে ধরেছেন। নীতি আয়োগের ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য সামারি রিপোর্ট’-এর কভারে বিহারের মানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগকে চিঠি দেওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি লিখেছেন - পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র নিয়ে এই ভুল মেনে নেওয়া যায় না। এটি গুরুতর ভুল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত গতবছর নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক 'বন্ধ' করে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ করে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের বৈঠকে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মাঝ পথেই বৈঠক ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর এবারের নীতি আয়োগের বৈঠকও 'বয়কট' করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মে মাসে নীতি আয়োগের বৈঠকে ছিলেন না এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে গরহাজির ছিলেনমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত গত বছরের নীতি আয়োগের সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, মাঝপথেই সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য়ের কথা বলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ৫ মিনিট বলার পরই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, যে আর কোনও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
এদিন ফের নীতি আয়োগের ভুল নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এটিকে শুধুমাত্র একটি ভুল হিসেবে নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের প্রতি ‘অজ্ঞতা ও অসম্মানের’ প্রকাশ হিসেবে দেখছেন। তাঁর চিঠিতে তিনি এই ঘটনার জন্য নীতি আয়োগের কাছে কৈফিয়ত দাবি করেছেন এবং এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণ বলে সমালোচনা করেছেন। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারপার্সনকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।