আজ থেকেই রাজ্য সরকারের দেওয়া জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus Category Security) পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন (Amartya Sen)। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) অধ্যাপক সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি অর্মত্য সেনার নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেড প্লাস করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পর এই প্রথম বার জেড প্লাস সুরক্ষা বলয়ে দেখা গেল অর্থনীতিবিদকে। এই সুরক্ষা বলয়েই তিনি আজ দিল্লি যাবেন।
আজ সকালে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাসভবন ‘প্রতীচী’-র সামনে নিরাপত্তা সংস্থার গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। অধ্যাপক সেন বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁকে ‘বুলেটপ্রুফ’ গাড়িতে করে নিয়ে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি আবার শান্তিনিকেতনে ফিরবেন অমর্ত্য।
বৃহস্পতিবারই অমর্ত্য় সেনকে আবারও জমি ফেরত দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারপর গতকাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পাল্টা চিঠি পাঠান অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। চিঠিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করার জন্যই এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। জমি দখলের দাবি ভিত্তিহীন, কর্তৃপক্ষের উচিত তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, 'বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়ত আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।'
চিঠিতে তিনি এ-ও লিখেছেন, বাড়তি জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর জন্য বিশ্বভারতীকেই ক্ষমা চাইতে হবে তাঁর কাছে। এ প্রসঙ্গে অর্মত্য সেন বলেন,'এটা আমার বাড়ি। আমি এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন আচমকা আমার বিরুদ্ধে ওনারা বলতে শুরু করলেন তা বলাও খুব মুশকিল। যে রাজনীতিতে বিশ্বভারতী চলে, যে রাজনীতিতে উপাচার্য নিজেকে চালান, তার সঙ্গে আমার মতবিরোধ আছে। এ কারণে এ কাজ কাজ করে থাকতে পারে।'