কলকাতায় ফের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর থানা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুল। অভিযোগ, ওই স্কুলে বেশ কয়েকদিন ধরে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে ও কুপ্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও দাবি অভিভাবকদের। প্রতিবাদে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাঁরা অভিভাবকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শ্যামপুকুরের ওই স্কুলটি মেয়েদের। বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে রাজমিস্ত্রীরা কাজ করছেন। অভিযোগ, বাথরুম যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ডাকছেন ওই রাজমিস্ত্রীরা। সম্প্রতি একজন ছাত্রীর সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেই ছাত্রী তাঁর মা-বাবাকে বাড়িতে গিয়ে জানান। তখনই অভিভাবকরা স্কুলে আসেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। স্কুলের ভিতর শিক্ষিকারা থাকা সত্ত্বেও কেন এমন হচ্ছে, সেই প্রশ্নের জবাব চান তাঁরা। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি বলে অভিযোগ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমন কী তিনি ছাত্রীদের টিসি দেওয়া হবে-এমন কথাও বলেন। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়। তারপরও প্রধান শিক্ষিকা আলোচনায় বসেননি। তখন স্কুলের গেট ঘিরে ধরেন ছাত্রীর বাবা-মায়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। পুলিকর্মীদের ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ চলে স্কুলের বাইরে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও ৬ জনকে আটক করেছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এদিনই পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এক স্কুলে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষকরা নানা ছুতোয় ছাত্রীদের মেসেজ পাঠান ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেফতারির দাবিতে প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা।