কেতুগ্রামের সেই নার্স রেণু খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চাকরি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ভবানীপুরে খুন হওয়া দম্পতির মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রেণু খাতুনকে নিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা জানেন কেতুগ্রামের একটি মেয়ের ডান হাত কেটে দিয়েছে তাঁর স্বামী। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সেখানে গেছিলেন। আমরা সেই রেণুর জন্য একাধিক কাজ করছি।'
রেণুর জন্য কী কী করা হবে?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'রেণুর যেহেতু ডান হাত নেই তাই তিনি যে কাজ বসে করতে পারবেন সেই কাজ দেওয়া হবে। রেণুর নাম নার্সিংয়ের মেধা তালিকাতে ২২ নম্বরে ছিল। এছাড়া ওর যে হাত কেটে দিয়েছে সেখানে আর্টিফেসিয়াল হাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর ও যেখানে চিকিৎসা করতে গেছিল সেখানে ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছে। ওর স্বাস্থ্যসাথি কার্ডে কাজটা হয়নি। কেন হয়নি, সেটা দেখছি। এই নিয়ে আমি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি পুরো বিষয়টার তদারকি করছেন।'
প্রসঙ্গত, সরকারি নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের রেণু। তাই তাঁর স্বামী শের মহম্মহ শেখ দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে রেণুর ডান হাতের কব্জি কেটে নেন। আর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক দুষ্কৃতী হাতুড়ি দিয়ে রেণুর মাথায় আঘাত করে তাঁকে অজ্ঞান করে। তারপর শের মহম্মদ নিজেই স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়৷ পরে প্রতিবেশীদের সাহায্যে রেণু খাতুনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ। তারপর সে পালিয়ে যায়। যদিও পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।