Advertisement

Kali Puja Air Quality: রাতভর বাজির শব্দে কানে তালা কলকাতার, আকাশ ঢেকেছে ধোঁয়ার চাদরে

সোমবার রাতে কলকাতা এবং হাওড়ার বায়ুর গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময় রাত ৮টা, ১০টার পরও ফাটানো হয়েছে বাজি। আর যে সে বাজি নয়, ফাটল শব্দবাজি।

কোথায় কতটা খারাপ বায়ুর মান?কোথায় কতটা খারাপ বায়ুর মান?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Oct 2025,
  • अपडेटेड 10:48 AM IST
  • সোমবার রাতে কলকাতা এবং হাওড়ার বায়ুর গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে পড়ে
  • নির্ধারিত সময় রাত ৮টা, ১০টার পরও ফাটানো হয়েছে বাজি
  • আর যে সে বাজি নয়, ফাটল শব্দবাজি

কাজে এল না কোনও নিষেধাজ্ঞা। সব বারণকে উপেক্ষা করে কালীপুজোয় দেদার বাজি ফাটল কলকাতায়। যার ফলে বায়ুর মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। বিপদে পড়ে বৃদ্ধ থেকে শিশু।

সোমবার রাতে কলকাতা এবং হাওড়ার বায়ুর গুণগত মান খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময় রাত ৮টা, ১০টার পরও ফাটানো হয়েছে বাজি। আর যে সে বাজি নয়, ফাটল শব্দবাজি। আর তাতে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WBPCB) ও রাজ্য পুলিশের নির্দেশিকা লঙ্ঘন হয়েছে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। যদিও এই নিয়ে কোনও মহলে খুব একটা হেলদোল দেখা যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে কী খবর?

WBPCB-র এক আধিকারিক জানান, সোমবার রাত ১০টায় শহরের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১৮৬ (PM 2.5)। আর হাওড়ার বেলুড়ে ছিল ৩৬৪।

 

এখানে বলে রাখি, AQI ১৫১–২০০ হলে ‘খারাপ’, ২০১–৩০০ হলে ‘খুব খারাপ’ এবং ৩০০-এর উপরে হলে ‘গুরুতর' বলা হয়।

কোথায় কত ছিল AQI?

হাওড়ার পদ্মপুকুরে AQI ছিল ৩৬১, আর ঘুসুড়িতে ছাড়িয়েছে ২৫২। কলকাতার বালিগঞ্জে AQI ছিল ১৭৩। আবার যাদবপুরে ছিল ১৬৯। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে (সিঁথি অঞ্চল) AQI ছিল ১৬৭। আর এই সব তথ্যই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাস্তবিক পরিস্থিতি।

কী বললেন পরিবেশবিদ?

কলকাতা ও হাওড়ার এই বায়ুর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ। তিনি জানান, সন্ধ্যা থেকেই কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ এবং হাওড়া জুড়ে ব্যাপক শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। কাশীপুর, সিঁথি থেকে শুরু করে জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কসবা, টালিগঞ্জ, রিজেন্ট পার্ক, বেহালা ও যাদবপুর— সব জায়গাতেই উচ্চ-ডেসিবেলের শব্দ বাজি ফেটেছে।

আর এতকিছুর পরও পুলিশ ও WBPCB কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিল। তারা বাজি বিক্রি ও ব্যবহার রুখতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন সোমেন্দ্রবাবু।

ও দিকে ‘সবুজ মঞ্চ’-এর নব দত্ত একই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষকে নিয়ম মানতে বাধ্য করেনি। আর সেই কারণে বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষ, শিশু ও পোষ্যদের শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও দাবি করেন, হাওড়ার পরিস্থিতি খুব। আর কালীপুজো পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

Read more!
Advertisement
Advertisement