Advertisement

Kolkata Electrocution Death: কলকাতায় বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে আবার মৃত্যু, জমা জলে দোকান খুলতেই...

মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর কলকাতায় তাতে জমা জলে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যে নতুন করে মর্মান্তিক খবর সামনে আসছে। রাস্তার জমা জলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল শহরের আরও এক বাসিন্দার।

প্রতীকি ছবিপ্রতীকি ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Sep 2025,
  • अपडेटेड 2:40 PM IST


মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর কলকাতায় তাতে জমা জলে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যে নতুন করে মর্মান্তিক খবর সামনে আসছে। রাস্তার জমা জলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়ে মৃত্যু হল শহরের আরও এক বাসিন্দার। শনিবার পঞ্চমীর সকালে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধার। দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে তিনি তড়িদাহত হন বলে খবর। সেই সময় রাস্তায় জমে ছিল জল। জমা জলের উপর দাঁড়িয়েই তিনি দোকানের শাটার খোলার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা-সরশুনা এলাকায়।

বেহালা-সরশুনা এলাকার ক্ষুদিরাম পল্লীতে জমে ছিল জল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শ্রাবন্তী দেবী। সরশুনার ক্ষুদিরাম পল্লির তালপুকুর রোডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দোকানের শাটার তুলতে পারেননি। ধাতব শাটারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ এবং এলাকায় বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা সিইএসসি-কে খবর দেন। তারা ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। তাঁকে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সিইএসসি-র বক্তব্য, দোকানের ছাদের টিনের শেডে একটি আলো লাগানো হয়েছিল। সেই আলোর তার ঠিকমতো ছিল না। বিদ্যুৎবাহী সেই তারের কারণেই বৃদ্ধা তড়িদাহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর এ কথা জানিয়েছেন সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, শহর কলকাতার এখনও পুরোপুরি জলমুক্তি ঘটেনি। সোমবার মধ্যরাত থেকে আচমকা বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ৷ কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে মঙ্গলবার জলের তলায় চলে যায় শহর ৷ এরপর একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে ৷ এই ঘটনায় প্রথম থেকেই CESC-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল ৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মৃত্যুর জন্য CESC-কেই দায়ী করেন ৷ পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণাও করেছন ৷ শুধু তাই নয়, নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দিতেও বলেন তিনি এরপর হাইকোর্টের তরফেও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement