সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে লখনউয়ের সাগর শর্মার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দিল্লি থেকে আসা স্পেশাল সেল টিম সাগর শর্মাকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার অনুমতি দেয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে সেই কথোপকথন। সাগর তাঁর পরিবারকে জানান, তিনি যা করেছেন, ঠিকই করেছেন। তিনি আর কী বললেন...
সাগর ফোনে বলেন – মা, বাড়িতে সব ঠিক আছে, কোনও সমস্যা আছে? তাতে মা বললেন- ছেলে, কি করলে?
সাগর- মা আমি যা করেছি, তা ঠিক। আমি কারও পরামর্শে করিনি। তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। মা, নিজের এবং মাহি (বোনের) খেয়াল রেখো।
কথোপকথনের সময় সাগর শর্মা তাঁর লখনউ এবং আরও কিছু জায়গার গুরুত্বপূর্ণ নথি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। দিল্লির স্পেশাল সেল টিম সাগরের ঘর থেকে ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক খুঁজে পেয়েছে। লেনদেন তদন্ত করা হচ্ছে। এসব অ্যাকাউন্টে কখন, কোথায়, কত টাকা আদান-প্রদান হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ওই কক্ষে পকেট ডায়েরি, বই, ফাইল, টিকিট ইত্যাদি পাওয়া গেছে। যেগুলো সাগরের বাবার স্বাক্ষরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাগর শর্মার বাবা-মা ও বোনকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে সাগরের পরিবারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইউপি এটিএস। ইউপি এটিএস ও গোয়েন্দা দল কী জানতে পেরেছে?
তথ্য অনুযায়ী, ইউপি এটিএস এবং গোয়েন্দা দলও লখনউতে সাগরের বাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি তদন্ত করে। দলটি হিমাংশুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যিনি অভিযুক্ত সাগর শর্মাকে ব্যাটারি রিকশা দিয়েছিলেন। যেখানে সাগর ব্যাঙ্কগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নিজের নতুন ই-রিকশা কিনতে চান।
যেখান থেকে জুতো কেনা হয়েছিল সেই শোরুমেও পৌঁছেছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুসারে সাগর শর্মা সেই বিশেষ জুতোটি ৭০০ টাকায় কিনেছিলেন। যার মধ্যে তিনি একটি ধোঁয়ার ক্যান লুকিয়ে রেখেছিলেন। আট নম্বরের দুই জোড়া জুতো কিনেছিলেন। ওই দোকানদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে আরও জানা গেছে যে সাগর শর্মার ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিমানের টিকিট কেনা হয়েছিল। বেঙ্গালুরু এবং কলকাতার বন্ধুদের মাধ্যমে তিনি অন্যান্য সঙ্গীরা যুক্ত ছিলেন।
সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লি নম্বরের একটি গাড়িতে করে সাগরের বাড়িতে পৌঁছেছিল দলটি। এই দলে ছয় সদস্য ছিল। সবাই সাধারণ পোশাকে ছিল। ঘরে বসে থাকা অন্য লোকজনকে বের করে নিয়ে সাগরের মা, বাবা ও বোনকে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ ঘরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সাগরের বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়।