"সবাই ভাল থাকুন, দলের সঙ্গে আছি, ১০০ বার আছি", সোমবার আলিপুর আদালত থেকে বেরোনের সময় সাংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন এর আগে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের ওপর মেজাজ হারাতে দেখা যায় পার্থকে। আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে, রীতিমতো ধমকের সুরে পার্থ বলেন, "চুপ করে থাকুন"।
অন্যদিকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচারক প্রশ্ন করেন, "কিছু বলবেন"? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমার শরীর দিচ্ছে না। সব কেস একসঙ্গে আনা হয়েছে। কিছুই পাওয়া গেল না। তাও এভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাকে সারভাইভ করতে দিন প্লিজ।" পাশাপাশি এদিন পি চিদম্বরমের গ্রেফতারি ও প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে পার্থবাবুর আইনজীবীরা আদালতে সওয়াল করেন যদি, চিদম্বরমকে জামিন দেওয়া হয়ে থাকতে পারে, তবে তাঁদের মক্কেলকে কেন দেওয়া হবে না?
একইসঙ্গে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও বিচারক প্রশ্ন করেন, "কিছু বলবেন"? উত্তরে অর্পিতা বলেন, "আমাকে আমার মায়ের সঙ্গে একটু কথা বলতে দিন, তাহলে আমি আমার মায়ের খবরটা নিতে পারি"। আর যদি মায়ের সঙ্গে নাও হয়, তাহলে বোনের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতির আবেদন জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, তিনি এই বিষয়ে যা বলার নির্দেশাকারে বলবেন।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশকয়েকমাস আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। তারপর থেকে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন পার্থবাবু। এদিকে পার্থবাবুর গ্রেফতারের পর, তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, দল কোনও দুর্নীতিকে সমর্থন করবে না। সেক্ষেত্রে পার্থবাবু দলের সঙ্গে থাকার এই বার্তার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে বিশেষ কোনও ইঙ্গিত দিতে চাইলেন কিনা, সেই নিয়েই এখন জল্পনা রাজনৈতিকমহলে।
আরও পড়ুন - শরীরের ৩ জায়গায় ব্যথা জানান দেয় কোলেস্টেরল বেড়েছে